ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ৪ ব্যক্তি দুই দিনেও উদ্ধার হয়নি

গোয়অলন্দে পদ্মা নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৪ ব্যাক্তি ও ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ওডুবুরিদের দল। ছবিটি শনিবার দুপুরে পদ্মা নদীর দেবগ্রাম কাওয়ালজানি এলাকা থেকে তোলা।

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ৪ ব্যক্তি দুই দিনেও উদ্ধার হয়নি

  • গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীতে পাথর বোঝাই ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ৪ ব্যক্তি দুইদিনেও উদ্ধার হয়নি। এ অবস্থায় তাদের সলীল সমাধী হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিখোঁজ ব্যাক্তিদের উদ্ধারে চরম অবহেলার অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। গতকাল শুক্রবার বিকেলে গোয়ালন্দের দেবগ্রাম ইউনিয়নের কাউয়ালজানি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

শনিবার দুপুরে সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল ও গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। ডুবে যাওয়া বিশাল ট্রলারের অবস্থান নিশ্চিত হলেও তীব্র স্রোতে ডুবুরী দল সফল অভিযান চালাতে ব্যার্থ হচ্ছে। এ সময় নিখোঁজ ব্যাক্তিদের স্বজনরা অপর একটি বড় ট্রলারের সহায়তায় ডুবে যাওয়া ট্রলারটি সেকল দিয়ে বেঁধে তোলার চেষ্টা করছিলেন।

নিখোঁজ ব্যাক্তিদের স্বজন ও উদ্ধার কাজে অংশ নেয়া অনেকেই অভিযোগ করনে, দূর্ঘটনার ২৪ ঘন্টা পার হয়েছে। এখনো নিখোঁজ ব্যাক্তিদের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। ডুবে যাওয়া নৌযান উদ্ধারের জন্য পার্শ্ববর্তী আরিচায় বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ রয়েছে। ওই জাহাজ উদ্ধার কাজে যোগ দিলে হয়ত এতক্ষনে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা সম্ভব হতো।

জানা যায়, পাবনা থেকে পাথর বোঝায় বিশাল ওই ট্রলার রাজবাড়ীর সদর উপজেলার গোদার বাজার ঘাট এলাকায় আসছিল। ট্রলারটি কাওয়ালজানি এলাকায় আসার পর প্রবল স্রোত ও অতিরিক্ত পণ্য বোঝায় থাকার কারনে মাঝখান থেকে দুই ভাগ হয়ে ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা ১০ জনের মধ্যে ছয় জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বাঁকি চারজন উঠতে পারেনি।

নিখোঁজ থাকা চারজন হলেন সিরাজগঞ্জ জেলার সাজাহান শেখের ছেলে নুরুজ্জামান শেখ (৪০), আলতাফ প্রামানিকের ছেলে ফারুক প্রামানিক (৪০), আবু শেখের ছেলে আব্দুল শেখ (৩৫) ও আমজাদ শেখের ছেলে আলামিন শেখ (৪৩)। নিখোঁজ সবার বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়।

ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে বেঁচে যাওয়া শাহানুর মিয়া (৪৫) জানান, প্রবল স্রোতের মধ্যে কয়েক সেকেন্ডর মধ্যে তাদের ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় তারা যে ৬জন বাইরে ছিল তারা তীরে উঠতে সক্ষত হয়। আর যে ৪ জন ট্রলারের কেবিনের (ছই) মধ্যে ছিল তারা বের হতে পারেনি।

বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো. মাসুদুল হক জানান, তাদের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন উদ্ধারকারী জাহাজের ক্ষমতা অনুপাতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি অনেক ছোট। এ কারণে ওই উদ্ধারকারী জাহাজ ব্যবহারে অনেক অসুবিধার কথা বিবেচনা করে এখনও পর্যন্ত সেটি ব্যবহার করা হয়নি। তবে তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষটি সার্বক্ষনিক অবগত করছেন বলে জানান।

রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের রাজবাড়ীর সহকারী পরিচালক শওকত আলী জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনার পর আমাদের গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট গিয়ে নিঁখোজদের উদ্ধারের জন্য কাজ করে। পরে রাজবাড়ীর ইউনিট ও ঢাকা থেকে আসা ডুবুরী দল উদ্ধার কাজে যোগ দেয়। কিন্তু তীব্র স্রোতের কারণে উদ্ধার কাজ সফল হচ্ছে না। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে নৌবাহিনীর ডুবুরী দল রওনা দিয়েছে। তাদের এখানে এসে উদ্ধার কাজে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads