টেকনাফে ৭ রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত

টেকনাফে র‌্যাবের অভিযানে নিহত ৭ রোহিঙ্গা ডাকাত

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

টেকনাফে ৭ রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত

  • টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২ মার্চ, ২০২০

টেকনাফে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৭ রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছে।

আজ সোমবার  (২ মার্চ) ভোররাত ১ টা  থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত টেকনাফের জাদিমোরা ও শালবনের পাহাড়ে অভিযানে এ ঘটনা ঘটে।    

নিহত ডাকাত দলের সদস্যরা হলো টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা ও শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ ফারুক (৩০), মোহাম্মদ আলী (২৫), নুর হোসেন ওরফে নুর আলি ও ইমরান (৩২)। বাকি তিন জনের  পরিচয়  এখনো পাওয়া যায়নি।  

এসব তথ্য নিশ্চিত করে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ বলেন, গতকাল রবিবার রাত ১০ টার দিকে টেকনাফ ক্যাম্পের র‌্যাবের একটি দল হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোড়া-মোছনির মাঝামঝি নুর মোহাম্মদ এর কাটা মাঠ  ’ নামক গভীর পাহাড়ে কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত জকির গ্রুপের সদস্যরা অবস্থান নেয়।  খবরে র্যাবের কয়েকটি টিম পাহাড়া অভিযানে নামে। এ সময় র‌্যাব সদস্যদের উপর  লক্ষ্য করে    গুলি চালায় তারা। তারই সুত্রে ধরেই সোমবার ভোরে তার নেতৃত্বে র‌্যাবের আরও একটি বিশেষ বড় টিম চিহ্নিত পাহাড়ের ভিন্ন পথে একে একে চারটি পাহাড় ডিঙ্গিয়ে আস্থানায় পৌছলে স্বশস্ত্র ডাকাতদলের সদস্যরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতারি গুলি করতে থাকে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে চার বন্দুকযুদ্ধ চলতে থাকে। পরে এক পযায়ে সকাল ৯ টার দিকে পাহাড়ে ডাকাতদলের আত্মগোপনে চলে যায়। এতে র‌্যাব সদস্যা তল্লাশি চালিয়ে ৩টি বিদেশী পিস্তল, ১২ রাউন্ড গুলি, ৭টি ওয়ার সুটার গ্যান ও ১৩ রাউন্ড কার্তুজের গুলি উদ্ধার করা হয়। এসসময় রোহিঙ্গা ডাকাত গ্রুপের সাত সদস্যের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। 

টেকনাফ সিপিসি-১ ক্যাম্পের ইনচার্জ মির্জা শাহেদ মাহাতাব বলেন, হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোড়া ২৭ নম্বর ক্যাম্প পাহাড়ি এলাকায় হওয়ায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এর সুবাধে গহীন পাহাড়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে ৪-৫টি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল গড়ে উঠে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কুখ্যাত জকির ডাকাত ওরফে জকির আহমদ ডাকাতের সদস্যরা। তারা গহীন পাহাড়কে আশ্রয়স্থল বানিয়ে সেখানে চালিয়ে যাচ্ছে খুন, ধর্ষণ, ছিনতাই অপহরণ, মাদক কারবার। তাদের রয়েছে এক বিশাল বাহিনী। তাদের কাছে জিম্মি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের লোকজন। এমনকি তারা প্রায় সময় অভিযানকালে র‌্যাবের উপরও গুলি বর্ষণ চালায়। এ ঘটনায় ৩টি মামলা দায়ের করা হবে।   

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, ‘র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত সাত রোহিঙ্গা ডাকাতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার মর্গে পাঠানো হয়েছে। ডাকাতদের আস্তানায় পুলিশের আরও একটি বড় অভিযান চলবে।’ 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads