মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইট টুইটারে পোস্ট করে ইতোমধ্যে নানা ধরনের বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন মার্কিন প্রকৌশলী ইলন মাস্ক। সম্প্রতি এক টুইটের কারণে নিজের পকেট আর নিজের প্রতিষ্ঠানের থেকে মোট চার কোটি ডলার জরিমানা গুনতে হয়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠান টেসলার এই প্রধান নির্বাহীকে।
এতসব কাণ্ড ঘটে যাওয়ার পরও টুইট করা বন্ধ করেননি মাস্ক। এমনকি টুইটারে নিজের আচরণ বদলাবেন না বলে জানিয়ে দিলেন তিনি। ‘রিকোড ডিকোড’ নামের এক অনুষ্ঠানে তিনি নিজের এই ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ করেন।
দুই কোটি ডলার জরিমানার পর তিনি কীভাবে টুইটার ব্যবহার বদলাবেন? অনুষ্ঠানের উপস্থাপকের করা এমন প্রশ্নের উত্তরে মাস্ক বলেন, ‘আসলে তা নয়। আমি মনে করি এটি শুধুই শেয়ারবাজারে লেনদেন চলাকালীন কোনো বাস্তব প্রস্তাব রাখতে পারে এমন কিছু।’
মাস্ক বলেন, ‘কেউ কেউ নিজেদের প্রকাশ করতে তাদের চুল ব্যবহার করেন, আমি টুইটার ব্যবহার করি।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ৭ আগস্ট টেসলাকে প্রতি শেয়ার ৪২০ ডলার মূল্যে প্রাইভেট করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে টুইট করেন মাস্ক। এজন্য তহবিল পাওয়ার কথাও জানান তিনি। পরবর্তী সময়ে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি। তবে এই টুইটের মাধ্যমে তিনি বিনিয়োগকারীদেরকে ভুল দিকে পরিচালিত করেছেন বলে সেপ্টেম্বরে অভিযোগ তোলে এসইসি। এই টুইট কোনো সত্যতা ছাড়াই দেওয়া হয়েছে বলে নিয়ন্ত্রকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়।
টেসলা দুই কোটি ডলারের এই জরিমানা দিতে সম্মত হয়েছে। সেই সঙ্গে ৪৭ বছর বয়সী মার্কিন ধনকুবের মাস্ককেও তার প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি নিতে হচ্ছে। তবে তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী পদে বহাল থাকবেন।