করোনাভাইরাসের টিকা নিতে অনেক যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশে এসেছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আজ বৃহস্পতিবার মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে বিদেশি কূটনীতিকদের করোনা ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাদের কাছে কারণ জানতে চেয়েছিলাম। তারা বলেছেন, আমেরিকায় টিকা পেতে, সিরিয়াল পেতে অনেক দেরি হবে।’
তিনি বলেন, অনেক উন্নত দেশ এখনো ভ্যাকসিন পাচ্ছে না। প্রতিটা লোককে আমরা ভ্যাকসিন দিতে চাই। কারণ প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন, একটা লোকও যদি অসুস্থ থাকেন, তাহলে এই রোগ নির্মূল হবে না। আমরা শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে করোনা ভাইরাস নির্মূল করবো
৪৫ জন কূটনীতিক গতকাল টিকা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার, নরওয়ে, মালদ্বীপ ও ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত।
দেশে গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় গণটিকাদান। এরই মধ্যে সরকারি-বেসরকারি অনেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা টিকা নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত দেশে প্রায় ১৬ লাখ মানুষ টিকা নিয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচ শতাধিক মানুষের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার সমালোচনা করে এ কে আবদুল মোমেন বলেন, দুঃখের বিষয় যে, আল-জাজিরায় মত একটি বড় সংস্থা এত মিথ্যা কথা বলতে পারে। এত বানোয়াট গল্প বলতে পারে? তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। তাদেরকে জনগণ গ্রহণ করেনি। এ ধরনের মিডিয়া থাকা উচিত নয়। তাদের আরও বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। এ ধরনের মিথ্যা বলা তাদের বন্ধ করা উচিত। অনেক দেশে আল-জাজিরা নিষিদ্ধ হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আল-জাজিরার সঙ্গে আরেকটি সংস্থা হচ্ছে নেত্র, তারা বলেছিলো বাংলাদেশে করোনায় ৫০ লাখ থেকে এক কোটি লোক মারা যাবে। এখন পর্যন্ত ৮ হাজারের কিছু বেশি লোক মারা গেছে। তারা ঘরে বসে বসে চিন্তা করে। দেশ সম্পর্কে তাদের কোনো জ্ঞান নেই। এসব কিছুর মূল কারণ হচ্ছে বাংলাদেশকে অসুবিধায় ফেলা। এরা ষড়যন্ত্র করে সরকারের বদনাম করে।