দেশের বৃহৎ আলু উৎপাদনকারী অঞ্চল মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ীতে আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে। আলু রোপনের পর কয়েক ধাপে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়াতে এবং আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় ফলন ভাল হলেও দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষকরা।
মার্চের প্রথম সপ্তাহ শেষে ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ উপজেলার কৃষকরা এখন আলু উত্তোলনে ব্যস্ত। প্রতিদিন ভোরে আর সন্ধ্যায় উপজেলার বালিগাও, টঙ্গীবাড়ী, হাসাইল, দিঘিরপাড় বাজারে বসে শ্রমিক বিক্রির হাট। দুই ধাপে চলে আলু উত্তোলন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা দ্বিতীয় ধাপ চলে ২টা হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
আলু উত্তোলন করে কেউ বাড়ীতে সংরক্ষনাগার নির্মান করে সেখানে সংরক্ষন করছে কেউবা আলুর জমিতেই গোলা করে রাখছেন। কেউবা বস্তায় ভরে সাইকেল কিংবা ঘোড়ার পিঠে করে নিয়ে যায় কোল্ড ষ্টোরে। আলু ক্রয় করার মত তেমন কোন পাইকার এখনো দৃশ্যমান নেই। খুচরা বাজারে ১২ টাকা কেজি বিক্রি হলেও পাইকারী ১০টাকা দরে কিনতে চায়না কেউ। মাঠ পর্যয়ের কৃষক ধীপুর গ্রামের জহিরুল ইসলাম জানান, প্রতিকেজি ১৫ টাকার নিচে বিক্রি করলে খরচ উঠবে না।
গত ৪ বছরে লোকসানের কবলে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়া কৃষকরা এখন প্রতিনিয়ত আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। অন্যান্য বছরে আলুর ফলন ভালো হলেও বস্তাপ্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা লোকসান হওয়ায় এবার লাভের মুখ দেখবেন কিনা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, এবার টঙ্গীবাড়ীতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। বাম্পার ফলন হওয়ার এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, এবার চলতি মৌসুমে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০ হাজার ২০০ হেক্টর জমি।
টঙ্গীবাড়ীতে ৩১ টি হিমাগার থাকলেও লোকসানের কারনে ৩টি বন্ধ থাকায় এখন চালু রয়েছে ২৭টি। দেশের বৃহত্তম আলু উৎপাদনকারী অঞ্চল মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীর কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীদের দাবী এ অঞ্চলের প্রধান ফসল আলু রপ্তানির ব্যবস্থা সহ কৃষক যাতে ন্যায্য মূল্য পায় যথাযথ কর্তৃপক্ষ যাতে সেদিকে সু-নজর দেন।