ঝুঁকিপূর্ণ ৪০২ শতবর্ষী সেতুর ওপর দিয়েই চলছে ট্রেন

ছবি : সংগৃহীত

যোগাযোগ

ঝুঁকিপূর্ণ ৪০২ শতবর্ষী সেতুর ওপর দিয়েই চলছে ট্রেন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ জুন, ২০১৯

ব্রিটিশ আমলে তৈরি রেলপথ ও সেতু দিয়েই শত বছর পরেও চলছে ট্রেন। কিছু কিছু সেতু সংস্কার করে কোনোমতে টিকিয়ে রেখে রেল যোগাযোগ চালু রাখা হয়েছে। রেলপথের প্রায় ৯০ শতাংশ সেতু-কালভার্টের আয়ুষ্কাল শতকের কোটায় হওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই ছুটছে ট্রেন। ফলে মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা।

রেলওয়ের তথ্যমতে, দেশে ২ হাজার ৯২৯ কিলোমিটার রেলপথে ছোট-বড় সেতু রয়েছে ৩ হাজার ১৪৩টি। এর মধ্যে ৩২৬টি বড় সেতু (৬০ ফুট বা তার বেশি) ও ২ হাজার ৮১৭টি ছোট সেতু রয়েছে। এসব সেতুর প্রায় ৯০ শতাংশ ১৯৩০ থেকে ১৯৩৫ সালের মধ্যে নির্মিত। এ কারণে বলা যায়, এসব সেতুর মেয়াদ অনেকটা উত্তীর্ণ। স্বাধীনতার আগে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত দেশে রেলপথ নির্মিত হয় ২ হাজার ৮৫৮ দশমিক ২৩ কিলোমিটার। স্বাধীনতার পর নির্মাণ করা হয় মাত্র ৯৭ দশমিক তিন কিলোমিটার।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়ায় এসব সেতু স্থাপনার সময় আয়ুষ্কাল ধরা হয় ১০০ বছর। ব্রিটিশ আমলের স্থাপনা বলেই এখনো টিকে আছে। বর্তমান সময়ে তৈরি হওয়ার ২০-৩০ বছর পরেই অচল হয়ে যায় যেকোনো স্থাপনা। এখনই রেলপথে নতুন সেতু তৈরি না হলে যেকোনো সময় থমকে যাবে রেল যোগাযোগ।

জানা গেছে, রেলপথে ৩ হাজার ১৪৩ ছোট-বড় সেতুর মধ্যে ৪০২টি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ। বছরের পর বছর সেতুগুলোর সংস্কার না করার কারণে রেল চলাচলে ক্রমাগত ঝুঁকি বাড়ছে। স্বাভাবিক নিয়মে সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৭০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানোর কথা থাকলেও শুধু ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে ট্রেনচালকরা ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার গতিতে এসব সেতু পার করেন।

রেলের ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর সংস্কার ও নতুন করে নির্মাণের জন্য প্রকল্প হাতে নিলেও শিগগিরই তা আলোর মুখ দেখছে না। সেতু নির্মাণের বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন অনেকে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এখন পর্যন্ত রেলওয়ের উন্নয়নে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা ইঞ্জিন-কোচ বৃদ্ধি ও ব্রডগেজ লাইন তৈরিতে খরচ হয়েছে। তবে নতুন সেতু নির্মাণে বিশেষভাবে কোনো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে প্রধান প্রকৗশলী মো. আবদুল জলিল বলেন, মন্ত্রী ব্যস্ত আছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads