খেয়া নৌকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কুশিয়ারা নদী পার হতে হয় মৌলভীবাজারের রাজনগর ও সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের। বিভিন্ন সময় নৌকাডুবিতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেও একটি ব্রিজ না থাকায় এভাবেই নদী পার হয়ে স্কুলে যেতে হয় রাজনগর উপজেলার সীমান্তবর্তী ৪টি ইউনিয়নের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। বিভিন্ন সময়ে সরকারের মন্ত্রী, এমপিরা স্থানটি পরিদর্শন করলেও বাস্তবায়ন হয়নি একটি সেতু নির্মাণের দাবি, শুধুই মিলেছে আশ্বাসের বাণী। শিগগির কুশিয়ারা নদীর ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন দুই তীরের লাখো জনসাধারণ।
মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলাকে বিভক্ত করেছে কুশিয়ারা নদী। ভরা মৌসুমে উত্তাল নদীতে খেয়া নৌকায় কুশিয়ারা নদী পারাপার করতে হয় মৌলভীবাজারের রাজনগর ও সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের। রাজনগর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় শিক্ষা, চিকিৎসা তথা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বালাগঞ্জ শহরের ওপরই নির্ভর করতে হয় এ অঞ্চলের জনসাধারণকে। ফলে ৪০টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে খেয়া নৌকায় নদী পার হয়ে যেতে হয় বালাগঞ্জ শহরে। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় স্কুল-কলেজের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যেতে হয় ওপারের নদী ঘেঁষা বালাগঞ্জ শহরে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হয় নারী, শিশু, বয়স্ক মানুষ ও রোগীদের। বিভিন্ন সময় এ নদীতে নৌকাডুবি হলেও ব্রিজ নির্মাণে তেমন কোনো উদ্যোগ আজো দেখা যায়নি।
২০১৩ সালে এখানে ব্রিজ নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরে রিপোর্ট পাঠানোর পর আর কোন অগ্রগতি হয়নি। ব্রিজ না থাকায় এ অঞ্চলের মানুষকে উন্নত চিকিৎসা জন্য ও জরুরী কাজে বিভাগীয় শহর সিলেটে যেতে অতিরিক্ত ৪০ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়।
কুশিয়ার নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ করা হলে বালাগঞ্জ শহর যেমন মৌলভীবাজার জেলার উপকারিতা পাবে তেমনি হাওরাঞ্চল রাজনগরের মানুষও লাভ করবে বিভাগীয় শহরের নানান সুযোগ-সুবিধা। আর এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও আরো সফলতা আসবে বলে মনে করেন এ অঞ্চলের মানুষ। তাই দ্রুত মৌলভীবাজার-বালাগঞ্জ সড়কের কুশিয়ারা নদীতে একটি ব্রিজ নির্মাণ করার দাবি জানান রাজনগর ও বালাগঞ্জ এলাকার বাসিন্দারা।