জাহাজ ভাড়ায় বছরে ব্যয় আড়াই হাজার কোটি টাকা

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

সংরক্ষিত ছবি

সরকার

জাহাজ ভাড়ায় বছরে ব্যয় আড়াই হাজার কোটি টাকা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩০ এপ্রিল, ২০১৯

বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে বিদেশি জাহাজের ওপর নির্ভর করতে হয় বাংলাদেশকে। এতে জাহাজ ভাড়ার পেছনেই বছরে সরকারের ব্যয় হয় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।  এ কারণে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যা বাড়াতে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের এক প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের জাহাজের বহরে বর্তমানে ৪৭টি জাহাজ রয়েছে। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জাহাজ বহরে ২০৪১ সালের মধ্যে আরো মোট ৩২টি জাহাজ সংযোজন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২টি প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাঙ্কার, ২টি মাদার ট্যাঙ্কার, ১৮টি বাল্ক ক্যারিয়ার, ৬টি এলএনজি ক্যারিয়ার এবং ৪টি সেলুলার কন্টেইনার।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে ৫ হাজার ডিডব্লিউটির ঊর্ধ্বে ধারণক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ বাংলাদেশি পতাকায় রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে এনবিআর আরোপিত ভ্যাটের ১৫ শতাংশ মওকুফ করেছে। এছাড়া দেশের আমদানি ও রফতানি বাণিজ্যে সরকারি খাতে পরিবহন সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিএসসির মাধ্যমে স্বল্পমেয়াদে ২০২১ সালের মধ্যে ২টি নতুন মাদার ট্যাঙ্কার এবং দুটি নতুন ডিজেল পরিবহন উপযোগী প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাঙ্কার এবং দুটি কয়লা পরিবহন উপযোগী মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার সংগ্রহের প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের উত্তরে নৌপ্রতিমন্ত্রী জানান, ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর তীরভূমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা অপসারণ ও উদ্ধার, তীরভূমিসহ নদীর কিনারায় ওয়াল ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ, নদীর নাব্য বৃদ্ধি, নদীর তীরভূমি সংরক্ষণ ও পরিবেশ উন্নয়ন, নৌপথ ও নৌযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নদীদূষণ রোধে নদী থেকে প্রায় ৮ লাখ ঘনফুট বর্জ্য/ময়লা অপসারণ করা হয়েছে। নৌযান থেকে নদীতে বর্জ্য না ফেলার জন্য নৌযানের শ্রমিক, মালিক ও যাত্রীদের নিয়মিত সতর্ক করাসহ তদারকি করা হচ্ছে। নিয়মিত মাইকিং করে নদীতে বর্জ্য না ফেলার অনুরোধ করা হচ্ছে এবং শিল্পকারখানা ও গৃহস্থালি বর্জ্য মুখ বন্ধ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads