সারা দেশের মতো জামালপুরে পরিবহন ধর্মঘট চলছে। জামালপুর-ময়মনসিংহ-ঢাকা ও জামালপুর-টাঙ্গাইল-উত্তরবঙ্গ রুটে সব ধরনের দূরপাল্লার যানবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এদিকে পৌর বাসটার্মিনাল ও কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালে যাত্রীরা এসে গন্তব্যের গাড়ী না পাওয়ায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
সকাল ১০টায় জামালপুর-ময়মনসিংহ রুটে শরিফপুর বাজারে ধর্মঘটকারীরা ৬টি আটোবাইক ভাংচুর ও জামালপুর-টাঙ্গাইল রুটে গাড়ী নিয়ে বের হওয়ায় পিকআপ ভ্যান চালকদের গাড়ী থেকে নামিয়ে মুখে চুনকালী মাখিয়ে কান ধরে উঠবাস করাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জামালপুর কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড ও পৌর বাসস্ট্যান্ড থেকে চলাচলরত ১২টি রুটে আজ রোববার সকাল থেকে ধর্মঘট চলছে।
সড়ক দুর্ঘটনার সব মামলা জামিনযোগ্য করাসহ আট দফা দাবিতে রোববার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
ঢাকায় বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত জামালপুরের পাথালিয়া গ্রামের আলিমুল ইসলাম আকাশ ছুটিতে গ্রামের বাড়ীতে এসেছিলেন। আগামীকাল যোগদানের তারিখ। বাড়ী থেকে জামালপুর কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডে এসে গাড়ী পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, ধর্মঘটের কথা জানলে গতকালই ঢাকায় চলে যেতাম। আজ যেতে না পারায় হইতো আমার চাকরিটা থাকবে না।
আন্দোলনরত পরিবহন শ্রমিকরা জানায়, ফাঁসির দড়ি গলায় নিয়ে আমরা গাড়ী চালাতে পারবো না। আমরা একদিন গাড়ী চালাতে না পারলে ঘরে চুলো জ্বলেনা। দুর্ঘটনায় কবলে পড়লে ৫ লাখ জরিমানার টাকা আমরা কোথায় পাবো। শ্রমিকের উপর জুলুমকারী সড়ক নিরাপত্তা আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবোনা।
জামালপুর জেলা সড়ক পরিবহন ও শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মাহাবুব আনাম বাবলা বাংলাদেশের খবরকে বলেন, এই আইনের সংশোধন করা ও বর্তমান উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কতিপয় বাস্তব সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সরকারের কাছে ৮ দফা দাবী উপস্থাপন করেছে। শ্রমিকবান্ধব এসব দাবী সরকার মেনে নিলে আমরা রাজপথ ছাড়বো।