জামালপুরে ইট ভাটায় চলছে শিশুশ্রম

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

অপরাধ

জামালপুরে ইট ভাটায় চলছে শিশুশ্রম

  • জামালপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৪ জানুয়ারি, ২০১৯

শিশু অধিকার আইন উপেক্ষা করে কম টাকায় শ্রমিক পাওয়ার লোভে শিশুশ্রমকে সমর্থন যোগাচ্ছেন জামালপুর জেলার বেশকিছু ইট ভাটা মালিক। তারা কোমলমতি শিশুকে ইট ভাটার মতো ভারি কঠিন শ্রমে প্রলুব্ধ করে তাদের ভবিষ্যতকে শ্রমিক হিসেবে চিহ্নিত করছেন। দরিদ্র পরিবারের শিশুরা যেবয়সে বই খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা সেই বয়সে টাকার জন্য শ্রমের দিকে ধাবিত হচ্ছে। জামালপুর পৌরসভাসহ সদর উপজেলা ও অন্যান্য উপজেলাগুলোর ইট ভাটায় শিশুশ্রম লক্ষ্য করা গেছে।

জানা যায়, ইট ভাটার শ্রম অন্যান্য শ্রমের তুলনায় ভারি, কঠিন ও ঝুকিপূর্ণ। সব শ্রমিকই ইট ভাটায় কাজ করতে পারে না বা চায় না। ফলে ভাটা মালিকদের পুরো মৌসুমের টাকা অগ্রিম দিয়ে শ্রমিক পেতে হয়। সেই হিসেবে একেকজন শ্রমিকের গড়ে দৈনিক মজুরী পরে হাজার টাকার মতো। স্থান বেধে মজুরী উঠা নামাও করে। এই মজুরী পুষিয়ে নিতে এবং ভবিষ্যত শ্রমিক তৈরী করতে ভাটা মালিকরা স্থানীয় দরিদ্র পরিবারের শিশুদের ইট ভাটায় কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে। তারা শিশু অধিকার আইন উপেক্ষা করে কম টাকায় শ্রমিক পাওয়ার লোভে কোমলমতি শিশুদের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে ইট ভাটার মতো কঠিন শ্রমে সমর্থন যোগাচ্ছে। এতে করে একদিকে যেমন এসব শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে অপরদিকে কঠিন শ্রমের মধ্যে শ্রমিক হিসেবে বেড়ে উঠছে।

মেলান্দহের একটি ইট ভাটায় কর্মরত শিশুদের একজন বাবু (৮ ) জানায়, তারা দুই ভাই বোন। বাবা ইট ভাটায় কাজ করে। সে ক্লাস ফোর পর্যন্ত পড়েছে। এখন বাবার সাথে ইট ভাটায় কাজ করে। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত কাজ করলে পায় ২শ টাকা। স্কুলে গেলে টাকা খরচ হয়, আর ভাটায় কাজ করলে টাকা আয় হয়। তাই সে আর স্কুলে যায় না।

অপর এক শিশু আছলাম (৬ ) জানায়, তার বাবা নেই। মা কাজ করে অন্যের বাড়ি। বাড়ির পাশে ইট ভাটা। এখানে কাজ করলে প্রতিদিন ২শ টাকা পাওয়া যায়। তাই তার মা ভাটায় করতে পাঠিয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads