জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে জালিয়াতি করে ভর্তি হতে এসে জাহিদ হাসান নামে এক ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোর্পদ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করলে সন্ধ্যায় জাহিদ হাসানকে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করে প্রশাসন।
আটক জাহিদ হাসান পাবনা জেলার আটঘড়িয়া উপজেলার মো: বকুল মিয়ার ছেলে। চলতি ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ভর্তি হতে এসে ভর্তি প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় বিভাগীয় সভাপতি উজ্জ্বল কুমার মন্ডল অভিযুক্তকারীর হাতের লেখার সাথে অপটিক্যাল মার্ক রিডার (ও.এম.আর) শর অমিল দেখতে পান। পরে সন্দেহের ভিত্তিকে অভিযুক্তকারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার কাছে প্রেরণ করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তকারী জাহিদ হাসান তার ফাহাদ নামের এক বন্ধুুর সাথে পাঁচ লক্ষ টাকা চুক্তির কথা স্বীাকার করেন। এমনকি ভর্তি করে দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন হাসানের ওই বন্ধু ফাহাদ। পরে সন্ধ্যার দিকে প্রক্টর অফিসে অভিযুক্তের মৌখিক ও লিখিত স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করেন।
এ বিষয়ে জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি উজ্জ্বল কুমার মন্ডল বলেন, বিভাগে ওই শিক্ষার্থী ভর্তি হতে আসলে ও.এ.মার শীর্টের হাতের লেখা ও অভিভাবকের নাম, শিফট এবং ফোন নম্বরে অমিল এবং তার কথাবার্তায় অসামঞ্জস্যতা লক্ষ্য করি। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যায়ের নিরাপত্তা শাখার হাতে তুলে দেই’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ওই শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ স্বীকার করেন। পরে লিখিত স্বীকারোক্তি নিয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়েছে’।