জাতীয়

জাতীয়করণের আওতায় প্রাথমিকের ১০৩১ শিক্ষক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৪ অক্টোবর, ২০১৯

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ২৯১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক হাজার ৩১ শিক্ষককে জাতীয়করণের আওতায় আনা হচ্ছে।

সূত্রমতে, তৃতীয় ধাপে শিক্ষকদের জাতীয়করণ করতে ২০১৭ সালের ২৩ জুলাই ট্রাস্কফোর্সের সভা হয়। সভায় জাতীয়করণ হওয়া ২৯১টি বিদ্যালয়ে কর্মরত এক হাজার ৩১ শিক্ষকের সরকারিকরণ কার্যক্রম আটকে যায়। বাদ পড়া এসব শিক্ষকের তালিকা আগামী সপ্তাহের রোববার অথবা সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে।

জানা গেছে, এ তালিকায় এক হাজার ৩১ শিক্ষকের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৪৭ জন, রংপুরে ৪৩২ জন, রাজশাহীতে ৭৪ জন, চট্টগ্রামে ৬৮ জন, বরিশালে ১১৭ জন, সিলেটে ২৭ জন ও খুলনা বিভাগে ৫৬ জন শিক্ষক রয়েছে। তবে প্রজ্ঞাপন প্রকাশের দিনের মধ্যে যদি কারোর সরকারি চাকরির সময়সীমা বা অবসরে যাওয়ার সময় হয়, তাহলে তিনি পেনশনসহ সরকারি সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।

এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বদরুল হাসান বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না পাওয়ায় তৃতীয় ধাপে প্রায় সাড়ে ৫০০ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জাতীয়করণ করা হলেও ২৯১টি বিদ্যালয়ের এক হাজার ৩১ শিক্ষককে জাতীয়করণের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদের সভায় এসব শিক্ষককে জাতীয়করণে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। আগামী সপ্তাহে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে তারা জাতীয়করণের আওতাভুক্ত হয়ে যাবেন।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী গত চার বছরে সারা দেশে ২৬ হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। তিনটি ধাপে এসব প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়। তৃতীয় ধাপে সারা দেশে ৫৪৯টি বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলেও মামলা জটিলতা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে বিলম্ব, নানা অভিযোগ-আপত্তিসহ বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় এ ধাপে ২৯১টি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সরকারিকরণ করা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads