জনবান্ধব হচ্ছে পুলিশ

লোগো পুলিশ

জাতীয়

জনবান্ধব হচ্ছে পুলিশ

  • আজাদ হোসেন সুমন
  • প্রকাশিত ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

পুলিশ বাহিনীকে আরো জনবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষ যাতে সহজেই আইনগত সহায়তা ও পুলিশি সেবা পায় তা নিশ্চিতের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে পুলিশ সদর দফতর এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

‘পুলিশ-জনতা ঐক্য গড়ি, জঙ্গি-মাদক নির্মূল করি’- এ স্লোগানের মধ্য দিয়ে পুশি সপ্তাহ ২০১৯-এ পুলিশ বাহিনীকে গণমুখী করে গড়ে তোলার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদর দফতর এসব তথ্য জানিয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি (এইচ আর এম) মো. শফিকুল ইসলাম বাংলাদেশের খবরকে বলেন, পুলিশকে জনবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা নতুন কিছু নয়। সরকার আরো ১০ বছর আগেই এটা  শুরু করেছে। কিন্তু পুলিশ বাহিনীতে বিরাজমান নানা সমস্যার কারণে তা সম্ভব হয়নি। তবে দিন যত যাচ্ছে পরিস্থিতির তত উন্নতি হচ্ছে। একটা সময় ছিল সাধারণ মানুষ পুলিশের নাম শুনলেই আঁতকে উঠত। পুলিশ সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ধারণা ছিল। কিন্তু এখন  তা  অনেকাংশে কেটে গেছে। পুলিশ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে।

বর্তমান আইজিপি নিয়োগ পাওয়ার পরই থেকেই পুলিশ বাহিনীকে বদলে ফেলার উদ্যোগ নেন। থানায় গিয়ে যাতে সাধারণ মানুষকে হতাশ হয়ে ফিরতে না হয় তিনি সেটা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন। থানায় কেউ সাধারণ ডায়েরি করতে গেলেও ডিউটি অফিসার বিনয় ব্যবহার করার পাশাপাশি তা গ্রহণ করেন। থানায় আগন্তুকদের হাসিমুখে বিদায় নিতে দেখা যায়। এর নেপথ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পুলিশ বাহিনীর হাজারো সমস্যা তিনি গত ১০ বছর ধরে সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।  জনবল ও বেতন বৃদ্ধিসহ নানা সুযোগ-সুবিধা পাওয়ায় পুলিশ বাহিনী এখন আর অর্থের জন্য কাউকে হয়রানি করে না।

২০১৭ সালের পুলিশ সপ্তায় প্রধানমন্ত্রী জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করেছিলেন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাজারবাগ পুলিশ লাইনস অডিটোরিয়ামে কল্যাণ সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের দাবি দাওয়া মিটিয়ে দিচ্ছি প্রয়োজনে আরো দেব। কিন্তু আমি চাই আপনারা জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করুন। জনগণ যাতে আপনাদের বন্ধু মনে করে সেভাবে নিজেদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করুন। নিজেকে গর্বিত পুলিশ বাহিনীর সদস্য হিসেবে বিবেচনা করুন।

৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গভবনে পুলিশ বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ বলেন, আপনারা দেশ থেকে সফলতার সঙ্গে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করেছেন। জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করে আপনারা দেশবাসীর মনে বিশেষ স্থান করে নিয়েছেন। এটা ধরে রাখতে হবে। নিজেকে শাসক নয় জনগণের বন্ধু হিসেবে সেবার মানসিকতা নিয়ে দায়িত্ব পালন করুন।

এ সম্পর্কে পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মনিরুজ্জামান বলেন, সরকার দাবি মেনে নিয়েছে। নিশ্চিত করেছে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে পুলিশ বাহিনীকে কল্যাণমুখী, গণমুখী ও জনবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার। এক্ষেত্রে আমরা অনেকটাই এগিয়ে গেছি। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের মাত্রা অনেক কমে গেছে। এই বাহিনীর কোনো সদস্য অন্যায়-অপকর্মে জড়াল তার বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আরো কীভাবে জনমনে স্থান করে নেওয়া যায়- সে লক্ষ্যে একটি গবেষণা সেল কাজ করছে। অদূর ভবিষ্যতে পুলিশে সেবার মান বাড়বে এবং পুলিশ বাহিনী জনবান্ধব হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আমি মনে করি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads