সাধারণ মানুষ অনেক সময় প্রশাসনের সেবা না পেয়ে বঞ্চিত হন তাঁর অধিকার থেকে , কারণ তাঁরা যেতে পারেন না কর্মকর্তাদের অফিসের দরজা পর্যন্ত। উপজেলা প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সেই দূরত্ব কমাতে এবার ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছেন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রায়হান আহমেদ। পায়রা নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রায়হান আহমেদ বলেন, আমার অফিসে সেবার জন্য সবাই আসতে পারেন এ জন্য কোন বাধা নেই। এ অফিস উপজেলার সবার।তাই যে কোনো প্রয়োজনে কৃষক, শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ নির্ভয়ে কড়া নাড়ছে নির্বাহী কর্মকর্তার দরজায়। বিভিনান ধরনের উদ্যোগকে প্রসংশা করে ইতিমধ্যে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন অনেকে।
ইউএনওর কাছে সেবা নিতে আসা ছালেহা বেগম বলেন, আল্লাহর কাছে দোয়া করি উনারে বাচাইয়া রাহুক। আমি ওনার অফিসে গেছি আমারে মায়ের মত সম্মান দেছে আমি যা কইছি মোন দিয়া হোনছে খুব ভাল একটা সার। এমন ধরনের সার এ যুগে খুব কম মেলে।
এ বিষয়ে দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান আহমেদে নিজের এ ব্যতিক্রমীধর্মী উদ্যোগের বিষয়ে বলেন, ‘অফিসগুলো তৈরি করা হয় জনসাধারণের কাজের জন্য। আমি যদি আমার অফিসে প্রবেশের জন্য কাউকে বাধা দিই, অফিসের ও সাধারণ মানুষের মাঝে পর্দা দিই, দেয়াল তুলি, তাহলে তারা কীভাবে সেবা নেবে। আমি চাই জনসাধারণের সঙ্গে প্রশাসনের কোনো দূরত্ব থাকবে না। জনসেবার জন্যই আমাদের প্রশাসন । কেউ আসেন সামাজিক সমস্যা কিংবা অভিযোগ নিয়ে, দরিদ্র মানুষরা বয়স্কভাতা, বিধবাভাতার জন্য আসেন, কৃষক আসেন জমিতে সেচ যন্ত্র স্থাপনের ছাড়পত্রের বিষয়ে।’এছাড়াও উপজেলার সবাই সকল বিষয় নিয়ে আমার এখানে আসতে পারেন কারো জন্য কোন বাধা নেই।
জানাগেছে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রায়হান আহমেদ ১৯৮৬ সালে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলাধীন কাতলাপুর গ্রামে শিক্ষক পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা মৃত্যু জয়নাল আবেদীন এবং মাতা মনোয়ারা বেগম। পিতার ৩ সন্তানের মধ্যে তিনি একমাত্র ছেলে। বাকী দুই বোন সু-প্রতিষ্ঠিত পরিবারের পুত্রবধূ। পারিবারিক জীবনে তিনি আরিয়া আহমেদ রেহান নামের এক সন্তানের জনক। এবং তার স্ত্রী একজন গৃহনী।