ক্যাম্পাস

জামালপুরে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের একমাত্র ছাত্রাবাস

ছাত্রাবাস বন্ধ, দরিদ্র ছাত্রদের লেখাপড়া বন্ধের আশংকা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

আবুল কাশেম জামালপুর:

জামালপুরে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি হাসান হাফিজুরের নামে একমাত্র ছাত্রাবাসের মূল ফটকে ঝুলছে তালা। ছাত্রাবাস ভবনের প্রবেশ পথে, ভেতরে, দরজা-জানালায় জমে আছে ময়লার স্তুপ। ভেতরে উঁকি দিলে পাওয়া যায় উৎকট গন্ধ। এভাবেই দীর্ঘদিন যাবত সরকারি কলেজ ছাত্রাবাসের এমন দুরাবস্থা চলছিলো। এরপরেও দূর-দূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের ঠাঁই হয়েছিলো নিষ্প্রাণ এই ছাত্রাবাসে। গত এক সপ্তাহ আগে এই ছাত্রাবাসটিও বন্ধ করে দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। ছাত্রাবাসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রদের লেখাপড়া  বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

জামালপুর ও শেরপুরের উচ্চ শিক্ষার সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ। হাজার হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে এই কলেজে।  কলেজের দুটি আধুনিক ছাত্রীবাস থাকলেও জরাজীর্ণ একটিমাত্র ছাত্রাবাস ছেলেদের জন্য। বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি হাসান হাফিজুর রহমান ছাত্রাবাসের ১৪ টি কক্ষে ৫৬ জন শিক্ষার্থী থাকার সুযোগ রয়েছে । ছাত্রাবাসে থাকা চৌকি, চেয়ার, টেবিল, পানির ট্যাব, শৌচাগার, বিদ্যুৎ এর তার সহ সব নষ্ট হওয়ার উপক্রম। ছাত্রাবাসে তেমন কোন সরকারি সুবিধা না থাকলেও দুর দূরান্ত থেকে আসা দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই ছাত্রাবাসে থেকেই তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বছরে মাত্র ৬ হাজার টাকা ভাড়ায ছাত্রাবাসে একবছর থাকা গেলেও বাসা নিলে তা এক মাসের ভাড়াও হবে না।

হঠাৎ ছাত্রাবাস বন্ধ করায় বিপাকে রয়েছে আবাসন সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা। দরিদ্র পরিবারের হওয়ায় লেখাপড়া বন্ধের আশংকা করছে শিক্ষার্থীরা।

সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ হারুন অর  রশিদ জানান, ছাত্রাবাস পরিচালনার জন্য সরকারিভাবে কোন অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়না।  শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওযা টাকা দিয়েই ছাত্রাবাস পরিচালিত হয়। শিক্ষার্থীরা টাকা না দেওয়ায় ছাত্রাবাস পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।

মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের স্বার্থে ছাত্রাবাসটি দ্রুত খুলে দেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads