অ্যাসোসিয়েশন অব কম্পিউটিং মেশিনারিজ-ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট (এসিএম-আইসিপিসি) ২০১৮-এর ২২তম আসরের এশিয়া অঞ্চলের (ঢাকা পর্ব) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ডেসসিফ্রেডর। আর প্রথম রানার্সআপ হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ব্লাড হাউন্ড ও দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দল ইপাইন ফ্রাইন এবং মেয়েদের সেরা দল হয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির হিউরোস্টিক দল।
গত শনিবার আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা মিলনায়তনে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ এই কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ১০১টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন আইটি ইনস্টিটিউটের ২৯৮টি দল এবং নেপাল থেকে তিনটি দল অংশ নেয়। প্রতিটি দলে তিনজন করে প্রতিযোগী অংশ নেয়।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয়ী দল সাস্ট ডেসসিফ্রেডরের প্রতিযোগী আরাফ অভিষেক বলেন, এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। খুবই ভালো লাগছে।
তিনি আরো বলেন, আঞ্চলিক পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, এখন টার্গেট বৈশ্বিক পর্বেও চ্যাম্পিয়ন হওয়া। সেই লক্ষ্যে নিজেকে এখন প্রস্তুত করতে হবে।
এ প্রতিযোগিতার সেরা দুটি দল আগামী বছরের ৩১ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্তুগালের ইউনিভার্সিটি অব পোর্তোর স্বাগতিকতায় অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ফাইনালের মূল পর্বে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি ডিভিশন ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সহযোগিতায় এবং এডিএন ইডু সার্ভিসেস ও এসএসএল ওয়্যারলেস, বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি ও ইন্টারনেট সোসাইটি (আইসক) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সহ-পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে এ ইভেন্টের আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম মাহাবুবুল হক মজুমদারের সভাপতিত্বে সন্ধ্যায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্যামসাং আরএন্ডডি ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের চিফ অপারেটিং অফিসার ও সিএফও ড্যানিয়েল ডকিউন কিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটি ও ইন্টারনেট সোসাইটি (আইসক) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রফেসর হাফিজ মো. হাসান বাবু। আরো বক্তব্য দেন প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, ডাটাসফট সিস্টেমস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহাবুব জামান প্রমুখ।
এর আগে সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে জমকালো এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা পাঁচ ঘণ্টা এ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা চলে।