পঞ্চম ধাপ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে সকাল নয়টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত গ্রহন হয়। সকাল থেকে সুষ্ঠ ও শান্তিপুর্নভাবে ভোট গ্রহন চললেও কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম।
কোথাও বড় ধরনের অপ্রীতিরকর ঘটনা না ঘটলেও সকাল সোয়া নয়টার দিকে উপজেলার চৌবাড়ী ভোট কেন্দ্রের ভোটার স্লিপ দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
এ সময় ঘোড়া প্রতীকের সমর্থক যুবলীগ নেতা এ্যাড. রেজাউল করিম ভুট্ট ও আওয়ামী লীগ নেতা টগরসহ ১০জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে এ্যাড. ভুট্টর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার পেট-বুকসহ বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাহত করা হয়েছে।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নৌকা প্রতীক প্রার্থী আব্দুল মতিন চৌধুরীর নিজ কেন্দ্রে আরেক প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম শফি ভোট দিতে গেলে নৌকার প্রতীকের প্রার্থীর ছোট ভাই মুক্তা চৌধুরী শফিকে বেধড়ক মারপিট করেছে। পরে সে দৌড়ে পালিয়ে রক্ষায় পায়। বিষয়টি নিয়ে তিনি রিটার্নিং অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কামারখন্দ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীসহ ৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছে। তবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছে। শুধু পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। অন্যদিকে, সুষ্ঠভাবে ভোট গ্রহন করতে আইনশৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে আনসার-পুলিশ ছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে কেন্দ্রের বাইরে র্যাব-বিজিবি সার্বক্ষনিক টহলে ছিল।
জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, ভোট কেন্দ্রের বাইরে দুএকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপুর্নভাবে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরেছি। এবারও প্রথম ব্যালট পেপার সকালে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এতে সাধারন ভোটাররাসহ প্রার্থীদের মধ্যেও সুষ্ঠ ভোটের প্রতি আস্থা বেড়ে গেছে।
 
                                 
                                 
                                         
                                         
                                         
                                        





