চৌদ্দগ্রামে ইউনির্ভাসাল গ্যাস প্লান্টে অন্য কোম্পানির সিলিন্ডার রিফিলের অভিযোগ, আটক ৩

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

অপরাধ

চৌদ্দগ্রামে ইউনির্ভাসাল গ্যাস প্লান্টে অন্য কোম্পানির সিলিন্ডার রিফিলের অভিযোগ, আটক ৩

  • চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৮ মার্চ, ২০১৯

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ইউনিভার্সাল এলপিজি গ্যাস রিফিল প্লান্টে বিভিন্ন কোম্পানির সিলিন্ডারে অবৈধ গ্যাস রিফিলের (অবৈধ ক্রস ফিলিং) অভিযোগে প্লান্টের ম্যানেজারসহ তিনজনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় অন্য ছয় কোম্পানীর ৩৬টি সিলিন্ডার উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক তদন্ত শুভ রঞ্জন চাকমা।

জানা গেছে, এলপিজি আইন অনুযায়ী এক কোম্পানির সিলিন্ডার অন্য কোম্পানির সিলিন্ডারে গ্যাস ভর্তি করার নিয়ম নেই। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ইউনিভার্সাল এলপিজি গ্যাস রিফিল প্লান্টে ‘ইউনিভার্সাল সিলিন্ডার’-এ গ্যাস ভর্তির পাশাপাশি অন্য কোম্পানির সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিল করে আসছে। বিভিন্ন কোম্পানির পক্ষ থেকে অভিযোগ করলেও এতে তারা কর্ণপাত করেনি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের সিনিয়র এএসপি আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশ ও চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউনিভার্সাল প্লান্টে অভিযান চালায়। অভিযানকালে অন্য কোম্পানীর সিলিন্ডারে গ্যাস ভর্তির অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- প্লান্ট ম্যানেজার ফেনী সদর উপজেলার ফলেরসব গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিন ছেলে মোর্শেদ উদ্দিন, একাউন্টস্ অফিসার নোয়াখালী সদরের সুজাপুর গ্রামের মৃত আবদুজ জাহেরের ছেলে আবদুল আউয়াল ও ইঞ্জিনিয়ার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার গবড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে শামীম মিয়া।

এ সময় টিকে কোম্পানীর এলপিজি সিলিন্ডার ১১টি, বিন হাবিব কোম্পানীর এলপিজি সিলিন্ডার ৬টি, সুপার কোম্পানীর এলপিজি সিলিন্ডার ৭টি, পদ্মা কোম্পানীর এলপিজি সিলিন্ডার ৭টি, নেওয়াজ কোম্পানীর এলপিজি সিলিন্ডার ৪টি ও বিপিসি কোম্পানীর এলপিজি সিলিন্ডার ১টিসহ মোট ৩৬টি সিলিন্ডার জব্দ করা হয়।

এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক তদন্ত শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, আটকদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads