চূড়ান্ত হলো সেরা ১০ স্টার্টআপ

ছবি : সংগৃহীত

তথ্যপ্রযুক্তি

চূড়ান্ত হলো সেরা ১০ স্টার্টআপ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৮ মে, ২০১৯

দেশসেরা দশ উদ্ভাবনী ধারণা নির্বাচিত হয়েছে। স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপের প্রথম পর্বের প্রতিযোগিতায় সেরা ৩০ ধারণার মধ্যে লড়াই করে শেষ দশটি ধারণা জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ী হলো।
বৃহস্পতিবার শীর্ষ ১০টি ধারণাকে বিজয়ী ঘোষণা করে প্রতি দলকে দশ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন কেন্দ্রে শুরু হওয়া ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ : চ্যাপ্টার ওয়ান’ এর জাতীয় ক্যাম্পের শেষ দিন পিচিং শেষে বিজয়ী শীর্ষ ১০ দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মূল ভিত্তি হচ্ছে উদ্ভাবন। উদ্ভাবনে অতীতে পিছিয়ে থাকার কারণে তিনটি শিল্প বিপ্লবে এই ভূখণ্ডের মানুষ শরীক হতে পারেনি। ডিজিটাল বিপ্লব সফল করতে দেশের প্রতিভাবান তরুণ জনগোষ্ঠীর সম্ভাবনাময় উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগানোর বিকল্প নেই। দেশে এখন উদ্ভাবনের যাত্রা শুরু করেছে।

‘আমার উদ্ভাবন, আমার স্বপ্ন’ স্লোগান নিয়ে চলতি বছর ৮ মার্চ শুরু হয় ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ’।

তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ‘ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ একাডেমি’ বা আইডিয়া প্রকল্প ও সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলার আয়োজনে চলা এই কার্যক্রমের জাতীয় ক্যাম্পের প্রথম দিনে অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তা দলগুলোকে নিয়ে শুরু হয় কর্মশালা। কর্মশালায় দেশের ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্বাচিত ১২০টি উদ্যোক্তা দলের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

জাতীয় ক্যাম্পের প্রথম দিনে কয়েকটি সেশনে অনুষ্ঠিত হয় এ কর্মশালা। যেখানে অংশগ্রহণ করা দলগুলোকে নিজ নিজ উদ্যোগ নিয়ে সফলতার সঙ্গে পিচিংয়ের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এ সময় উদ্ভাবনী ভাবনাকে পণ্যে রূপান্তর এবং বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপের সমন্বয়ক আশিকুর রহমান রূপক ও আইডিয়া প্রকল্পের কনসালটেন্ট মোহাম্মদ দেওয়ান আদনান।

বুধবার অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তা দলগুলোকে আরও কিছু বিষয়ে পরামর্শ প্রদান ও নিজেদের গুছিয়ে নেয়ার সময় দেয়া হয়।

শেষ দিন বৃহস্পতিবার ফাইনাল পিচিং রাউন্ড শেষে বিচারকদের ভোটে বাছাই করা হয় শীর্ষ ৩০ স্টার্টআপ। পরে জাতীয় পর্যায়ে সেরা ১০ উদ্ভাবনী ভাবনা বা স্টার্টআপ নির্বাচন করে ‘আইডিয়া’ প্রকল্পের বাছাই কমিটি এবং অন্যান্য বিচারকরা।

প্রথম অধ্যায়ে ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ প্রতিযোগিতা হলেও পর্যায়ক্রমে তা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করা হবে। এমনকি বড় বড় কলেজগুলোতেও ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ’ প্রতিযোগিতা আয়োজনের লক্ষ্য রয়েছে বলেও জানান আইডিয়া প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মুজিবুল হক।

সারা দেশ থেকে প্রায় দুই হাজারের বেশি তরুণ উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইয়াং বাংলার ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডরদের সহায়তায় পরিচালিত প্রতিযোগিতা থেকে বিজয়ী দল বাছাই করা হয়। পিচিং রাউন্ডে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনটি উদ্যোক্তা দল নির্বাচিত হয় জাতীয় স্টার্টআপ ক্যাম্পের জন্য।

সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে যুক্ত করার মধ্য দিয়ে জাতীয়ভাবে ইনোভেশন কালচার, স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম এবং এন্টারপ্রেনিয়ারিয়াল সাপ্লাই চেইন গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ শুরু করে আইসিটি বিভাগের ‘ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ একাডেমি -আইডিয়া’ প্রকল্প। আর ২০১৮ সালের ১৫ মার্চ, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘ইয়াং বাংলা’ এ প্রকল্পের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সাক্ষর করে। এ সমঝোতা স্মারকের আলোকে আয়োজন করা হলো ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ’ প্রথম অধ্যায়।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সাব্বির বিন শামস, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর পার্থপ্রতিম দেবসহ আইসিটি ডিভিশন ও আইডিয়া প্রকল্পের কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads