নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ব্যবসায়ীদের নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে চিনির কেজি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।
আজ বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সফিকুজ্জামান বলেন, চিনির খুচরা মূল্য আপাতত ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকার মধ্যেই থাকবে বলে আলোচনা হয়েছে।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের নিয়ে বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছি। এটি ছিল বছরের প্রথম বৈঠক, তাই ওইভাবে কোনো সিদ্ধান্তের কথা বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা ব্যবসায়ীদের নিয়ম-নীতি মেনে ব্যবসা করার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছি। উনারাও আমাদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গত মে মাসের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১২৯ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৫৩ টাকা, পাম সুপার তেল ১১২ টাকা এবং ৫ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের দাম ৭২৮ টাকা। এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশের বাজারে চিনির দাম বাড়ছে। গত এক মাসে খুচরা বাজারে চিনির দাম অন্তত ১২ শতাংশ বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে চিনি ও ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে বৈঠকে আলোচনা হয়।