চারদিন পর মুল আসামী গ্রেপ্তার পিবিআইয়ের হাতে

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

শ্রীপুরে ফোর মার্ডারের তদন্তে সাফল্য

চারদিন পর মুল আসামী গ্রেপ্তার পিবিআইয়ের হাতে

  • রেজাউল করিম সোহাগ, শ্রীপুর
  • প্রকাশিত ২৭ এপ্রিল, ২০২০

এখনো আতঙ্ক কাটেনি এলাকাবাসির। রাত নামলেই ভয় আর আতঙ্ক তাড়া করে আশপাশের বাসিন্দাদের। সেই দোতলা বাড়িটিতে নেমে এসেছে সুনশান নীরব। ভুতরে হয়ে পড়ে আছে। মাঝে মধ্যে পুলিশ আসে।

ঘরে পরে আছে জিনিসপত্র। বেলকনিতে শুকাতে দেওয়া কাপড়চোপর তেমনিই আছে। করোনার ভয়ে যখন মানুষ তটস্ত। চারপাশে করোনা আতঙ্কে সবাই ঘরবন্দি। এমন সময় এ রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড?  প্রতিবেশিদের প্রশ্ন কে বা কারা করল এমন পাষণ্ড কর্মটি? একই  সময় ঘরে ঢুকে মা ও তিন সন্তানকে  গলা কেটে হত্যা।

ধোঁয়াশার মধ্যেও  ছিল বিভিন্ন ডিভিশনের আইনশৃঙ্খলা  বাহিনীর সদস্যরা। রাত দিন ব্যস্ত চাঞ্চল্যকর মা ও তিন সন্তান খুনের রহস্য ভেদ করার জন্য। বিভিন্ন বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট এ  ফোর মার্ডারের রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ শুরু করে। তবে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভিস্টিকেশন)  প্রথম সাফল্যের নাগাল পেয়েছে।

এ হত্যার তদন্তে নেতৃত্ব দেওয়া প্রধান আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। রোববার রাতে (২৬ এপ্রিল) পারভেজ (২০) নামে ওই আসামীকে জৈনা বাজার আবদার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকার  উদ্ধার করে বলে পিবিআইয়ের ওসি হাফিজুর রহমান নিশ্চত করেন।  এ ঘটনায় জেলা পুলিশ  সুপারের মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংক করে বিস্তারিত বলা হবে বলেও তিনি জানান।

 


গ্রেপ্তারকৃত পারভেজ আবদার গ্রামের কাজিম উদ্দীনের ছেলে। পারভেজ ২০১৮ সালেও এক শিশুকে ধষর্ণ করে ইট দিয়ে মাথা থেতলে হত্যা করেছিল। এ মামলায় জেল থেকে জামিনে রয়েছে সে। পারভেজ বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। সে মাদক ব্যবসায়ি ও সেবনকারী বলেও স্থানীয়রা সাংবাদিকদের জানান।


উল্লেখ্য গত ২৩ এপ্রিল গাজীপুরের শ্রীপুরে রাতের আধারে বাসায় ঢুকে এক নারীসহ তার তিন সন্তানকে গলা কেটে খুন করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ওই নারীসহ তার দুই মেয়েকে ধষর্ণ করা হয়েছিল।

উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের আবদার গ্রামে ( আবদুল আউয়াল কলেজের পাশ) এ দুর্ধর্ষ খুনের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার ও গাজীপুর ৩ আসনের সাংসদ মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

দোতলা বাড়ির ওপরের তলায় এক ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন ওই নারী। বাড়ির মালিক প্রবাসি  রেদোয়ানুল ইসলাম কাজল। সে প্রায় দুই যুগ ধরে মালয়েশিয়া প্রবাসী রয়েছে। সময় করে ছুটিতে বাড়ি আসেন। তাঁর আসল গ্রামের বাড়ি পার্শ্ববর্তী গফরগাঁও  উপজেলার  গোলাবাড়ি গ্রামের তালুকদার বাড়ি।  সে ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক ফাতেমা আক্তার স্মৃতিকে মালয়েশিয়াতে বিয়ে করে। ওই দেশেই তাদের দুই মেয়ের জন্ম হয়। পরে সবাই বাংলাদেশে এসে বসবাস শুরু করে। কাজল আবার প্রবাসে চলে যান।

নিহতরা হলেন প্রবাসীর স্ত্রী স্মৃতি আক্তার ওরফে ফাতেমা (৪৫)।বড় মেয়ে নুরা আক্তার (১৬) সে পাশের হাজী আবদুল কাদের একাডেমি থেকে এসএসসি পাস করে।  ছোট মেয়ে শাওরিন হাওয়া  (১২) সে পাশের ব্রাইট স্কলার ক্যাডেট মাদ্রাসার ছষ্ঠ শ্রেনির ছাত্রী ছিল। আর সবার ছোট ছেলে ফাদিল আল সাদ (৭) সে আবদুল করিম একাডেমির নার্সারি ক্লাসের শিক্ষার্থী ছিল।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads