চামড়াশিল্প অর্থনীতির দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ খাত

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন

সংরক্ষিত ছবি

শিল্প

চামড়াশিল্প অর্থনীতির দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ খাত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন মন্তব্য করেছেন, তৈরি পোশাকের পর চামড়াশিল্প জাতীয় অর্থনীতির জন্য দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ খাত। তিনি বলেন, এ শিল্পের পরিবেশ সুরক্ষা, শিল্পসংশ্লিষ্টদের পেশাগত নিরাপত্তা এবং সামাজিক কমপ্লায়েন্স জোরদারে বর্তমান সরকার কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে সাভারে অত্যাধুনিক চামড়াশিল্প নগরী গড়ে তোলা হয়েছে।

লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার্স ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, সরকারের ইশতেহার বাস্তবায়নে শিল্প মন্ত্রণালয় খাতভিত্তিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও মূল্য সংযোজনের উদ্যোগ নেবে। এ লক্ষ্যে চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। পাশাপাশি শিল্পায়নের মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ জোরদার করা হবে। ইশতেহারে ঘোষিত শিল্প খাতের লক্ষ্য অর্জনে খাতভিত্তিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করা হবে।

সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা জাতীয় অর্থনীতিতে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, চামড়াজাত পণ্যে মূল্য সংযোজন ঘটিয়ে বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। ২০২১ সাল নাগাদ ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চামড়াশিল্প খাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এ খাত থেকে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের সুযোগ আছে বলে তারা মন্তব্য করেন। তারা ব্যক্তিগত উদ্যোগে বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) স্থাপনের প্রস্তাব করলে মন্ত্রী এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। একই সঙ্গে তারা চামড়াশিল্পের উন্নয়নে সংগঠনের উদ্যোগে প্রণীত রোডম্যাপ বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।

এ সময় লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার্স ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. নাজমুল হাসান সোহাইল, পরিচালক জিয়াউর রহমান, নির্বাহী পরিচালক কাজী রওশন আরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন গতকাল শিল্প মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় শিল্পমন্ত্রী বলেছেন, বিএসটিআইয়ের মাধ্যমে নিম্নমানের ভোজ্যলবণ বাজারজাতকারীদের চিহ্নিত করে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে এ ধরনের লবণ উৎপাদনকারী কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বৈঠকে সংগঠনের পূবালী সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্বাধিকারী পরিতোষ কান্তি সাহা, শাহে মদিনা সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্বাধিকারী দুলাল রায়, মোল্লা সল্ট (ট্রিপল রিফাইন্ড) ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রতিনিধি এমএ মান্নান, এসিআই সল্ট লিমিটেডের কামরুল হাসান, কনফিডেন্স সল্ট লিমিটেডের মো. শামসুদ্দিন, ইফাত মাল্টি প্রোডাক্টস লিমিটেডের মো. জামাল রাজ্জাক ও গরিবে নেওয়াজ সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিনিধি মো. কামাল দেওয়ান উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে লবণশিল্পের সমস্যা ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়। এ সময় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বলেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সল্টের নামে কোনো কোনো আমদানিকারক সোডিয়াম ক্লোরাইড আমদানির ফলে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তারা এ বিষয়ে কঠোর হতে শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

বৈঠকে নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিমিত পরিমাণে আয়োডিনযুক্ত ভোজ্যলবণ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। এ লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিএসটিআই কাজ করে যাচ্ছে। আয়োডিনবিহীন কিংবা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ভোজ্যলবণ বাজারজাতকারীদের সঙ্গে সরকার কোনো আপস করবে না। পাশাপাশি যেসব লবণ মিল ভোজ্যলবণে পরিমিত পরিমাণে আয়োডিন মিশ্রণ করবে, সরকার তাদের স্বার্থ সুরক্ষা করবে। জাতীয় স্বার্থে লবণচাষিদেরও সুরক্ষা দেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

পরে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও গণমাধ্যম কর্মীদের সংগঠন বাংলাদেশ জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন ফর কনজুমার্স অ্যান্ড ইনভেক্টরসের (বিজেএফসিআই) একটি প্রতিনিধিদল শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads