কুমিল্লা-৭ চান্দিনায় পুলিশের গুলিতে মজিব (৩৫) নামে একজন নিহত হয়েছে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরো দুই জন।
৩০ ডিসেম্বর রবিবারসকাল ১১টায় পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ড পশ্চিম বেলাশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মজিবুর রহমান কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার লাজৈর গ্রামের সুজাত আলীর ছেলে। সে চান্দিনার পশ্চিম বেলাশহর এলাকার ভাড়াটিয়া বসবাস করার সুবাদে ওই এলাকার ভোটার।
আহতরা হলেন- পশ্চিম বেলাশহর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ফারুক মিয়া (৩৮) ও একই এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে রাহাদ (২৪)।
চান্দিনার ২০ দলীয় জোট প্রার্থী ড. রেদোয়ান আহমেদ জানান, চান্দিনার ৮৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭৫টি কেন্দ্র দখলে নিয়ে যায় আওয়ামী লীগ। পৌরসভার পশ্চিম বেলাশহর এলাকা সহ কয়েকটি কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোট চলছিল। পশ্চিম বেলাশহর ভোট কেন্দ্রে ভোটাররা সারিবদ্ধ ভাবে ভোট দেওয়ার সময় আমার মার্কায় বেশি ভোট পড়ছে দেখে প্রিজাইডিং অফিসার সকল ভোটারকে সরে যেতে বলেন। এসময় ভোটাররা না সরলে তিনি পুলিশকে গুলি করার নির্দেশ দেন। এসময় পুলিশের গুলিতে আমার তিন নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হয়। নিহতের মরদেহ ও আহতদের চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আনা হয়েছে।
তবে সরেজমিনের ঘুরে জানা যায়, নিহত মজিব ওই কেন্দ্রের একজন সাধারণ ভোটার। ভোট দিয়ে ফেরার পথে কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন। তিনি চান্দিনার একটি খাদ্য বিক্রেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করতেন।
প্রিজাইডিং অফিসার হুমায়ূন কবির ভূইয়া জানান, বিএনপি নেতা-কর্মীরা ভোট কক্ষে ঢুকে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। আপনার নির্দেশে পুলিশ গুলি করেছে কি না? এমন প্রশ্নে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে ফোনের লাইন কেটে দেন।
এব্যাপারে সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এসএম জাকারিয়া জানান, কিছু দুস্কৃতিকারী কেন্দ্রে ঢুকে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের উপর হামলা করে। এসময় পুলিশ আত্ম রক্ষার্থে গুলি চালায়।