চাঁদপুরে অবিক্রিত সাড়ে ৩ হাজার মেট্রিক টন পুরনো আলু

চাঁদপুরের ১৩ টি হিমাগারে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মেট্রিক টন আলূ এখনও অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে রায়েছে

ছবি : বাংলাদেশের খবর

কৃষি অর্থনীতি

চাঁদপুরে অবিক্রিত সাড়ে ৩ হাজার মেট্রিক টন পুরনো আলু

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৭ জানুয়ারি, ২০১৯

চাঁপুরের হিমাগারগুলোতে পুরনো সাড়ে ৩ হাজার মেট্রিক টন আলু অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে আছে। নতুন আলু বাজারে আসায় পুরানো আলুর আর চাহিদা নেই। এ অবস্থায় হিমাগারে আলু রাখা চাষিরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

কৃষকরা জানান, তিন বছর এভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এখন পাগল হওয়ার দশা। ব্যাংক ও সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে আলু চাষ করে এখন বিক্রি হচ্ছে না। নতুন আলু বাজারে আসায় পুরনো আলুর চাহিদা নেই। কম দামে বিক্রি করতে গেলেও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।

ইতোমধ্যে এসব আলুতে পঁচন ধরেছে। হিমাগারের ভাড়াও দিতে পারছেন না তারা। হিমাগার খালি করতে যেকোনো মুহূর্তে কর্তৃপক্ষ এসব আলু বাইরে ফেলে দেবে। এক কথায় এসব আলু এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার এসব আলু রফতানির ব্যবস্থা করলে কিছুটা ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যেত।

মতলব নারায়নপুরের কৃষক ছমিরউদ্দিন জানান, তিনি গত বছর প্রায় ৪ একর আলু চাষ করেছে। বৃষ্টিতে প্রথম আলু ক্ষেত নস্ট হলেও পরে আবার চাষ করে। এমনিতেই লস হয়েছে। এ ছাড়াও আলু আবাদ করতে হয়েছে দুইবার। এর পরেও যদি কোল্ড স্টোরের আল অবিক্রিত থাকে, তাহলে ঋণ নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে।
তিনি জানান, আমি কচুয়া ও চাঁদপুরের হিমাগারে ১৪’শ বস্তা আলু কোল্ডস্টোরজাত করেছি। এতে আমি গাড়ী বাবদ ভাড়ায় খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। এর উপর রয়েছে কোল্ড স্টোরের ভাড়া।

বাবুরহাট বিসিক মনোহারখাদি কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার মো. রুহুল আমিন সিদ্দিক জানান, চাঁদপুরের ১৩টি হিমাগারে প্রায় ৩ হাজার ৫শ’ মেট্রিক টন আলু এখনও অবিক্রিত রয়েছে। এই পরিমাণ আলু বর্তমানে বিক্রির কোনো সম্ভাবনা নেই। এতে আলু চাষি ও হিমাগার মলিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads