চাঁদপুরের ৫টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে চূড়ান্ত প্রার্থী দেয়া হয়েছে। রোববার (২৫ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এসব প্রার্থীদের দলের প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত চিঠি প্রদান করা হয়।
আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীতরা হচ্ছেন-
চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসন- ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-মতলব দক্ষিণ) মোফজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) ডাঃ দীপু মনি, চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভুঁইয়া ও চাঁদপুর-৫ (শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ) মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম।
আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে আওয়ামী লীগের দুই জনকে নৌকার চিঠি দেয়া হয়েছে। ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও গোলাম হোসেন চিঠি পেয়েছেন। এভাবে দেশের আরো কিছু আসনেও আওয়ামী লীগ থেকে একাধিক প্রার্থী দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, অনেক প্রার্থীর মামলা জটিলতাসহ অন্য কোনো কারণে যদি মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায় তাহলে দ্বিতীয় প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এদিকে ৫ জন মনোনীত প্রার্থীর মধ্যে ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভুঁইয়া ছাড়া বাকী ৪ জনই সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্ব থেকে এসব আসনে আওয়ামী লীগ থেকে অনেকেই মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তারা নৌকার পক্ষে তথা আওয়ামী লীগের পক্ষে সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে নানা ভাবে প্রচারণা চালিয়েছেন। কিন্তু দলের প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মনোয়ন বোর্ডের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে চাঁদপুরের সাবেক ৫ জনকেই প্রার্থী হিসেবে চিঠি দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি সময়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বলেছেন, যাকে নৌকা মার্কা দিয়ে মনোনীত করা হবে, সকলকে তার পক্ষেই কাজ করতে হবে। কেউ বিরোধীতা করলে দল থেকে বহিস্কার করা হবে। সংগঠনের সকল সিদ্ধান্ত মেনেই কাজ করতে হবে নির্বাচনকালীন সময়ে।
চাঁদপুরে আসনগুলোতে ১৯৯১-২০১৮ পর্যন্ত সংসদ সদস্য ছিলেন যারা: ১৯৯১ সাল থেকে চাঁদপুরের আসনগুলো ছিল বিএনপির দখলে। এরপর পর্যায়ক্রমে চলে আসে আওয়ামী লীগের দখলে।
চাঁদপুর-১ (কচুয়া) ১৯৯১ সালে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের মেসবাহ উদ্দিন খান, ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হন বিএনপির আনম এহসানুল হক মিলন, ২০০১ সালে নির্বাচিত হন আনম এহসানুল হক মিলন, ২০০৮ সালে নির্বাচিত হন ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর।
চাঁদপুর-২ (মতলব) ১৯৯১ সালে নির্বাচিত হন বিএনপির নুরুল হুদা, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত হন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ২০০১ সালে বিএনপি থেকে পুনরায় নির্বাচিত হন নুরুল হুদা, ২০০৮ সালে আবার নির্বাচিত হন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া তিনি বর্তমানে মন্ত্রী।
চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) আসনে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বিএনপি থেকে প্রফসের আব্দুল্লাহ নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন এস.এ.সুলতান টিটু, ২০০৮ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত রয়েছেন ডা. দীপু মনি।
চাঁদপুর-৪ আসন (ফরিদগঞ্জ) ১৯৯১ সাল থেকে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন ৩ বার আলমগীর হায়দার খান, ২০০৮ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন লায়ন হারুনুর রশিদ এবং ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আওয়ামী লীগ থেকে ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভুঁইয়া এমপি নির্বাচিত হন।
চাঁদপুর-৫ (শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ) এ আসনে ১৯৯১ সালে বিএনপি থেকে এম এ মতিন নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগের মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, ২০০১ সালে এম এ মতিন, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে এ আসনে মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি হিসেবে।