চলনবিলের মাঠে মাঠে চোখজুড়ানো হলুদ ফুলের সমারোহ। মাঠগুলো যেন হলুদ চাদরে মোড়া। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে প্রকৃতির রূপ। শীতের সোনাঝরা রোদে ঝকমক করছে হলুদ-সবুজে মিশেল দিগন্ত বিস্তৃত সরিষা ক্ষেত। যেন প্রকৃতি সেজেছে হলুদবরণ সাজে। মৌমাছি ও মৌচাষিরা ব্যস্ত মধু আহরণে। শীতে নয়নাভিরাম বাংলার চিরায়ত এ দৃশ্য দেখতে প্রকৃতিপ্রেমীরা ভিড় করছেন চলনবিল অঞ্চলে।
জানা গেছে, পাবনা-নাটোর-সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের কৃষকরা বোরো আমনের লোকসান পুষিয়ে নিতে চলনবিলে সরিষার আবাদ করেছেন। চলতি মৌসুমে তিন জেলায় প্রায় এক লাখ ৬৫ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম ও নাবি জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে। সরিষা ক্ষেতে চোখজুড়ানো হলুদ ফুল আকৃষ্ট করছে মৌমাছিদের। পুরো চলনবিল অঞ্চল মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে। মৌচাষিরা মধু আহরণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। চলতি মৌসুমে প্রায় তিন লাখ ৩০ হাজার টন সরিষা ও দুই হাজার ২০০ টন মধু উৎপাদনের দিকে এগিয়ে চলছে চলনবিল।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলনবিলের ২৬টি উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমে প্রায় এক লাখ ৬৫ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন আগাম ও নাবি জাতের সরিষা চাষ হয়েছে। সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রতি হেক্টরে দুই টন হিসেবে দুই লাখ হেক্টরে প্রায় তিন লাখ ৩০ হাজার টন। চলতি মৌসুমে সরিষার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পাবনা ও সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার চরাঞ্চলে প্রায় ৬৫ হাজার হেক্টরে সরিষার আবাদ হয়েছে। সেই সরিষা ক্ষেতের আইলে আইলে এখন সারি সারি মৌয়ের বাক্স। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর সরিষার আশাতীত ফলন হবে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।