চলনবিলের পানি প্রবাহের মুখে অবৈধ সুতি জাল পেতে প্রায় কোটি টাকার মাছ ধরছে কতিপয় প্রভাবশালী। বিলে পানি প্রবাহের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আগামী রবি শস্য সরিষা, গম, রসুন ও ভুট্টা’র প্রায় ৮০ হাজার হেক্টর জমির আবাদ হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছেন তারা। এ বিষয়ে প্রতিবছরের মতো এ বছরও এলাকার অনেকেই প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, চলনবিলের নাটোরের সিংড়া-গুরুদাসপুর,নওগাঁর আত্রাইবিলের একমাত্র পানি প্রবাহের পথ সিরাজগঞ্জের তাড়াশের আত্রাই নদীর শাখা সাইড খালে উপজেলার কুন্দইল গ্রামের ব্রীজের সামনে স্কুল সংলগ্ন এবং কুন্দইল গ্রামের দক্ষিণ পাশে অবৈধভাবে সুতিজাল পেতে মাছ নিধন করছে। এ সব স্থানে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার বাঁশ ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে পানি প্রবাহের মুখে অতি সুক্ষ্ম জাল পেতে মাছ ধরছেন। এ ছাড়া ভেটুয়া খালে ২টি অবৈধ সুতি জাল পাতায় চলনবিলের কৃষকের রবি শষ্য আবাদ এরই মধ্যে হুমকির মুখে পড়েছে। এসব জালের ফাঁস খুব ছোটো হওয়ায় পোনা মাছ থেকে শুরু করে বড় ধরনের মা মাছও রেহাই পাচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানান, এ বছর প্রায় কোটি টাকার মাছ ধরার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তারা কুন্দইলসহ চলনবিল এলাকার খাল-বিল দখল করেছে।
এদিকে চলনবিলের কৃষকেরা জানান, পানি প্রবাহের গুরুত্বপূর্ণ পথে ওই সুতি জালগুলো পাতায় পানি নামতে দেরি হবে। ফলে চলনবিলের বৃহত্তর অংশের প্রায় ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে রবি শস্য চাষ করা সম্ভব হবে না।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা মৎস্য অফিসার জানান, এক মাস আগে কয়েকটি সুতি জাল নিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। আবারো অভিযান চালানো হবে।