চলনবিলের জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে, আর এসব জলাশয়ে মিলছে পুঁটি, খলসেসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট ছোট মাছ। এসব মাছ খাওয়ার লোভেই চলনবিলে আশ্রয় নিয়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে বক। এ সুযোগে বিভিন্ন জায়গায় খুঁটি পুঁতে কলাপাতা, খেজুর ডাল দিয়ে বিশেষ কায়দায় ফাঁদ তৈরি করেছে শিকারিরা। এসব ফাঁদের সামনে একটি বাঁশের মগডালে রাখা হয় শিকারি বক। বকের ঝাঁক যখন ফাঁদের ওপর দিয়ে দল বেধে উড়ে যায়, তখন শিকারি বকটিকে নাচাতে থাকে। একপর্যায়ে শিকারি বকটি ডাকাডাকি শুরু করলে বকের ঝাঁকটি ফাঁদ ঘরের ওপর বসে। তখন ভেতর থেকে একে একে বক ধরে খাঁচায় ভরে শিকারিরা।
জানা গেছে, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, তাড়াশ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর ও গুরুদাসপুর উপজেলার বিল থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। এ সময় বক ঝাঁক বেধে বিলে খাদ্য সংগ্রহের জন্য আসে। এ সুযোগে শতাধিক স্থানে শিকারিরা জাল পেতে, বিষটোপে, বড়শিতে মাছ গেঁথে ও ফাঁদ পেতে নির্বিচারে বক শিকার করছে।
হান্ডিয়াল গ্রামের জাকির হোসেন বলেন, এ এলাকার বিলে প্রতিদিন এক থেকে দেড়শ বক শিকার হচ্ছে। প্রতি জোড়া বক ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রিও হচ্ছে। চামটা গ্রামের ওয়াসিম আকরাম বলেন, বিভিন্ন বিলে প্রতিদিনই শিকারিরা বক শিকার করে তা বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করছে। এক জোড়া বক ২০০ টাকা দিয়ে কিনেছি। ওসি (প্রশাসন) সেখ নাসির উদ্দিন বলেন, যেকোনো ধরনের পাখি শিকার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। চলনবিলে পাখি শিকার বন্ধ করতে হবে। শিকারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।