চলতি মৌসুমে পঞ্চগড়ে ১০ হাজার টন চা উৎপাদনের আশা

ফাইল ছবি

কৃষি অর্থনীতি

চলতি মৌসুমে পঞ্চগড়ে ১০ হাজার টন চা উৎপাদনের আশা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯

পঞ্চগড়ে চলতি মৌসুমে এক কোটি কেজি (১০ হাজার টন) চা উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। অনুকূল পরিবেশের কারণে চায়ের রাজ্য সিলেটের পাশাপাশি পঞ্চগড় জেলায় বাগান মালিকদের মধ্যে চা চাষাবাদের পরিমান দিন দিন বাড়ছে।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের (বিটিবি) ‘নর্দান বাংলাদেশ প্রকল্পের’ প্রকল্প পরিচালক ড. শামীম আল মামুন বলেন, পঞ্চগড় জেলায় ২০১৭ সালে ৫৪ লাখ ৪৬ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। ২০১৮ সালে ৮১ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। খবর ইউএনবির।

এরই মধ্যে ৯০ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি চলতি মৌসুমে এক কোটি কেজির ওপরে চা উৎপাদন হবে।’

এদিকে, পঞ্চগড়ে উৎপাদিত কাঁচা চা পাতার পরিবহন বাদে প্রতি কেজির মূল্য ১৬.৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘কাঁচা চা পাতা সরবরাহ ও চলমান পরিস্থিতি’ নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় আগামী ৩১ ডিসেম্বর থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত চা কারখানা বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া নির্ধারিত মূল্যের কমে চা পাতা কেনা যাবে না মর্মে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ চা বোর্ড পঞ্চগড় অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালে পঞ্চগড়ে চা চাষ শুরু হয়। পঞ্চগড় জেলায় বর্তমানে ৫ হাজার ৫৯৫ একর জমিতে চায়ের আবাদ হয়েছে।

পঞ্চগড়ে এখন পর্যন্ত নিবন্ধিত বড় চা বাগান রয়েছে ৮টি ও অনিবন্ধিত বড় চা বাগান রয়েছে ১৮টি। আর চা প্রক্রিয়াজাতের জন্য ১৫টি কারখানা চালু রয়েছে।

ড. শামীম আল মামুন বলেন, ‘আমরা নিবন্ধিত চাষিদের স্বল্পমূল্যে চা গাছের চারা দিচ্ছি, চা বাগান পরিদর্শন করে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’

চা চাষ অধিক লাভজনক। বিক্রিতে ঝামেলা নেই। তাই পঞ্চগড়ের মানুষ দিন দিন চা চাষাবাদের দিকে ঝুঁকছে, যোগ করেন তিনি।

শামীম বলেন, বাংলাদেশ চা বোর্ড এটুআই কর্মসূচির আওতায় ‘দুটি পাতা একটি কুড়ি’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপস চালু করেছে। এ অ্যাপস থেকে চা চাষ সম্পর্কে যেকোনো তথ্যের পরামর্শ পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads