চবি ছাত্রলীগ বিলুপ্ত হলেও থেমে নেই সংঘর্ষ

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

চবি ছাত্রলীগ বিলুপ্ত হলেও থেমে নেই সংঘর্ষ

  • প্রকাশিত ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

২০১৫ সালের ২১ জুলাই আলমগীর টিপুকে সভাপতি ও ফজলে রাব্বী সুজনকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদ।

কমিটি হওয়ার পর থেকে সাত মাসে চার বার সংঘর্ষ হয়। নিয়মিতভাবে  সংঘর্ষ হওয়ায় ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবারের মতো এই কমিটি স্থগিত করা হয়। পাঁচ মাস পর প্রত্যাহার করলেও ৯ মাসের মাথায় ২০১৭ সালের ৪ মে রাতে সংঘর্ষের পর আবারও এ শাখার কার্যক্রম স্থগিত করে কেন্দ্রীয় সংসদ।

দুই দফায় স্থগিতের পর ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর বিকালে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে চবি ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সংঘর্ষ থামাতে কমিটি বিলুপ্ত করা হলেও এখনো বিলুপ্ত হয়নি সংঘর্ষ। সর্বশেষ ৫ ফেব্রুয়ারি পূর্ব ঘটনার জের ধরে প্রয়াত নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দীন চৌধুরীর অনুসারী সিএফসি গ্রুপ ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুসারী সিক্সটি নাইন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় তিনজন কর্মী আহত হন। ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে আবারও উত্তেজনা সৃষ্টি করেন তারা।

১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলে সিট দখলকে কেন্দ্র করে এমদাদুল হক নামে এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে মারধর করে বিলুপ্ত ছাত্রলীগের একাংশের কর্মীরা। মারধরের ঘটনা প্রক্টরকে জানালে ফাহিম হাসান নামে আরেক শিক্ষার্থীকেও মারধর করা হয়। মারধরকারীরা শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আবু সাঈদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

এর আগে গত ২২ জানুয়ারি শাটল ট্রেনে সিট ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে সিএফপি গ্রুপ ও সিক্সটি নাইন গ্রুপ। এতে উভয় পক্ষের দুই কর্মী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে।

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে প্রয়াত নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দীন চৌধুরীর অনুসারী সিএফসি গ্রুপের সাঙ্গে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী সবগুলো গ্রুপ। এতে উভয় পক্ষের ৭ কর্মী আহত হয়। এ ঘটনায় পর উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা করে।

এর আগে ঐ বছরের ১০ অক্টোবর ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় পরবর্তী আনন্দ মিছিলকে  কেন্দ্র করে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় সিএফসি ও বিজয় গ্রুপ। এতে উভয় পক্ষের ৫ নেতা-কর্মী আহত হয়।

এছাড়াও গতবছর শিক্ষার্থী অপহরণ করে চাঁদাবাজি, সাংবাদিকের ওপর হামলা, জবাই করার হুমকি, কর্মরত অফিসারকে হুমকি, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনায় ভাঙচুরের মত বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপু জানান, সংঘর্ষ গুলো একেবারেই ব্যক্তিগত। নিজেদের ব্যক্তিগত কোন্দলে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। একেকজন বিভিন্ন পদের। ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জুবাইর উদ্দিন

 

বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজনের সাথে যোগাযোগ করতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads