চট্টগ্রাম বন্দরে একদিনে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড

চট্টগ্রাম বন্দর

সংগৃহীত ছবি

আমদানি-রফতানি

চট্টগ্রাম বন্দরে একদিনে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

চৌদ্দ মাস আগের রেকর্ড ভেঙ্গে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের নতুন রেকর্ড গড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। দেশের প্রধান এই সমুদ্র বন্দরে ২১ সেপ্টেম্বর সকাল আটটা পর্যন্ত আগের চব্বিশ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৭৩২ টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ইতোমধ্যে বন্দরে বেশ কিছু অত্যাধুনিক হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট যুক্ত হয়েছে। যে কারণে অপারেশনাল কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা অনেক বেড়েছে। যার প্রত্যক্ষ ফলাফল একদিনের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে নতুন রেকর্ড।

বন্দর সূত্র জানায়, এর আগে চট্টগ্রাম বন্দরে একদিনে সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৮৮৭ টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড ছিল। গত বছর ২১ জুলাই এ রেকর্ড হয়েছিল। এর চৌদ্দ মাসের মাথায় সৃষ্টি হল একদিনের সর্বোচ্চ কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড।

চট্টগ্রাম বন্দরে অত্যাধুনিক ভারি ইক্যুইপমেন্ট সংকটে কাঙ্খিত গতিশীলতা আসছে না ব্যবসায়ীদের এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এর পরিপ্রেক্ষিতে বন্দরে সক্ষমতা বাড়াতে নেওয়া হয় ১ হাজার ১৬০ কোটি টাকার নতুন যন্ত্রপাতি সংগ্রহের প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে শিপ টগ শোর গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ বেশ কিছু ইক্যুইপমেন্ট যুক্ত হয় বন্দরে। এতে গতি আসে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে।

চট্টগ্রাম চেম্বারের সহ সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে একদিনে সর্বোচ্চ কন্টেইনার হ্যান্ডলিয়ের নতুন রেকর্ড ব্যবসায়ীদের জন্য অবশ্যই একটি সুখকর সংবাদ। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহের পাশাপাশি বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করার যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, বর্তমানে বন্দরের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হচ্ছে বে-টার্মিনাল। দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা এ প্রকল্পটির অগ্রগতি আশানুরূপ নয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা গেলে বন্দরের সক্ষমতা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে। তাই প্রকল্পটিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বিবেচনায় বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর এই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পরিচালিত হয় দেশের ৯২ শতাংশ আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। আর প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পের ৯৭ শতাংশ আমদানি-রফতানি কার্যক্রম এ বন্দর দিয়েই পরিচালিত হয়।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads