সিলেটের পর চট্টগ্রামে জনসভা করতে বন্দরনগরীতে পৌঁছেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। সংসদ ভেঙে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে ‘নিরপেক্ষ’ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে জনমত গড়তে জনসভা করবেন তারা। শনিবার দুপুরে কাজীর দেউড়িতে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এই জনসভা ঘিরে মঞ্চ তৈরিসহ শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা গণফোরামের কামাল হোসেন, বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির আসম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না এবং বিএনপিপন্থি পেশাজীবী নেতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিভিন্ন ফ্লাইটে চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন। তারা উঠেছেন সেন্ট মার্টিন হোটেলে। চট্টগ্রামে পৌঁছানোর পর ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা সকাল সাড়ে ১০টায় আমানত শাহর মাজার জিয়ারত করেন বলে জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।
দুপুর ২টায় মহানগর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোগে নূর আহমেদ সড়কে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এই জনসভা শুরু হবে।
বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে এ জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন কামাল হোসেন। আর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ জনসভার প্রধান বক্তা। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে লালদীঘি মাঠে জনসভায় অনুমতি চেয়ে গত ২১ অক্টোবর পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে অনুমতি না দিয়ে ২৫টি শর্তে বিএনপির কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে এই জনসভা করার অনুমতি দেওয়া হয়।
শর্ত অনুযায়ী এই জনসভা শেষ করতে হবে বিকাল ৫টার মধ্যে। এই কর্মসূচি ঘিরে নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জাতীয় যুক্তফ্রন্ট গত ২৪ অক্টোবর সিলেটে জনসভা করার মধ্য দিয়ে সাত দফা দাবিতে জনমত গঠনের কর্মসূচি শুরু করে। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে অগতান্ত্রিক পথে ক্ষমতায় যাওয়াই এই জোট গঠনের লক্ষ্য। তবে নতুন এই জোটের নেতা কামাল হোসেন বলেছেন, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া কিংবা রাষ্ট্রীয় কোনো পদ পাওয়ার ইচ্ছা তার নেই। ‘গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও বহুমাত্রিক সমাজ’ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাওয়াই তার লক্ষ্য।