এইচ এম মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু:
ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত পটুয়াখালীর উপকূলে ত্রাণ নিয়ে ছুটে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার প্রধানকে কাছে পেয়ে মনের ক্ষত কেটেছে দুর্গত এলাকার বাসিন্দাদের। ভরসা পাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তুহারা মানুষের বাড়ি ঘর নির্মাণ,টেকসই বাধ,কৃষকদের জন্য সার বীজ সহ উপকুলের উন্নয়নে সবকিছু করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ মাঠে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খোঁজ খবর ও ত্রাণ বিতরণ করতে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি দুই হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ বিতরন অনুস্ঠান পরিনত হয় বিশাল জনসভায়।
সরকার প্রধান তার বক্তব্যে বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের হাজার হাজার মানুষের বাসস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশে কোন মানুষই বাস্তহারা থাকবে না। আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দিয়ে প্রতিটি মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই করা হবে।
আবহলিত দক্ষিনাঞ্চলের জন্য সেনা নিবাস,নৌঘাটি,রাডার,পায়রা তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র এবং নতুন একটি বন্দর করে দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় থাকে তখনই দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন হয়। এর আগে অনেক সরকার ছিলো কেউ এই এলাকার জন্য কাজ করেনি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ঘূর্নিঝড় রেমাল এর তান্ডবে লন্ডভন্ড হয় উপকূলীয় এলাকা হেলিকপ্টারে পরিদর্শন করেন। ত্রাণ বিতরন শেষে আন্ধারমানিক নদীর উপর নির্মিত শেখ কামাল সেতু পরিদর্শন শেষে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যান। সেখানে বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময় সভা শেষে বিকেল চারটায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন তিনি।





