এম এ বাবর:
একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্যকে সফল করতে কৌশলে এগোচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দেশে নব্বই-পরবর্তী সময়ে প্রভাবশালী একটি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল দলটি। যদিও কখনো এককভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পারেনি জামায়াত। কিন্তু এক সময় জাতীয় নির্বাচনের ফল নির্ধারণেও বড় ভূমিকা রাখতে দেখা গেছে দেশের সবচেয়ে বড় ধর্মভিত্তিক এ রাজনৈতিক দলটিকে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়নে রাজনৈতিক প্রভাব ক্ষীণ হয়ে থাকা দলটি এখন নতুন শক্তিতে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়তে প্রয়োজনে গঠনতন্ত্রের মৌলিক কিছু বিষয়ে পরিবর্তনের কথা ভাবছেন দলের নেতাকর্মীরা।
এদিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সবাই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য ইসলামী দল ও সংগঠনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছে দলটি। কারণ বিগত ১৫ বছর দলের তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নেতাকর্মীরা অনেক নির্যাতন-দমনের শিকার হয়েছেন। রাজনৈতিক কারণে জামায়াতের সঙ্গে দেশের অনেক দলের বেড়ে যাওয়া দূরত্ব কমাতেই তাদের এ প্রচেষ্টা। তবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর জামায়াত অন্য কোনো ইসলামী দলের সঙ্গে জোট করবে কি-না সে ব্যাপারে তখনই সিদ্ধান্ত নেবে দলটি।
মওলানা আবুল আ’লা মওদুদীর হাত ধরে ১৯৪১ সালে জামায়াতে ইসলামীর জন্ম। প্রথমদিকে নিজেকে সামাজিক সংগঠন হিসেবেই দাবি করত জামায়াত। ইসলামিক মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে মানুষের পাশে থাকার জন্য রাজনীতি ও সৎ মানুষ তৈরি করে সমাজের পরিবর্তন করাই নিজেদের উদ্দেশ্য হিসেবে দাবি করত দলটি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক থেকে রাজনৈতিক সংগঠনে রূপান্তরিত হয় জামায়াত। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার অভিযোগে দলটি স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বেশ প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এরই সূত্র ধরে বাংলাদেশে সাংবিধানিকভাবে সব ধরনের ইসলামিক দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ১৯৭৭ সালের পরবর্তী সময়ে রাজনীতিতে আবারো সক্রিয় হয় জামায়াতে ইসলামী। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর সুবাদে এ দেশের রাজনীতিতে ফিরে আসার সুযোগ পায় দলটি। নেতৃস্থানীয়দের অভিজ্ঞতা ও সাংগঠনিক দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল হয়ে উঠেছিল জামায়াত। বিএনপির সঙ্গে জোট বেঁধে ২০০১ সালে সরকারে ঠাঁই পায় জামায়াত। তবে আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর রাজনৈতিক রোষানলে পরে দলটির অবস্থা পাল্টাতে শুরু করে। দলটির প্রভাবে ভাটা পড়তে দেখা যায় ২০১৩ সাল থেকে।
আওয়ামী লীগের প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে ২০১৩ সালে জামায়াতের প্রথম সারির বেশ কয়েকজন নেতাকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত করায় দল বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়। শীর্ষ নেতারা দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় দল যতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জামায়াতের বিরুদ্ধে সরকারের নেতিবাচক অবস্থানের কারণে। কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে দেশের সব শাখা কার্যালয় সরকার বন্ধ করে দেয় এবং দলের কোনো কার্যক্রমই সরকার স্বস্তির সঙ্গে সম্পাদন করতে দেয়টি, যেটি জামায়াতের জন্য বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
ওই সময় থেকে দলটির প্রকাশ্য রাজনৈতিক উপস্থিতিও দিনে দিনে ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে উঠতে দেখা গেছে। এ অবস্থা থেকে সহসা দলটির ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছিল না। এমনকি ইউরোপিয়ান ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের এক পেপারে এ-সংক্রান্ত এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ‘দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান দিনে দিনে ফিকে হয়ে আসছে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে শীর্ষ নেতাদের বিচারের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়টিই তাদের দুর্বল হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। ফলে আর্থিকভাবেও দুর্বল হয়ে পড়ে দলটি। এখন কেবল অলৌকিক কোনো কিছুর মাধ্যমেই দলটির ফিরে আসা সম্ভব।
অন্যদিকে সংবিধানের সঙ্গে গঠনতন্ত্র সাংঘর্ষিক হওয়ায় ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাই কোর্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ‘অবৈধ ও বাতিল’ ঘোষণা করে রায় দেয়। ওই সময় গঠনতন্ত্রে সাংঘর্ষিক বিষয়গুলোর মধ্যে প্রথমত, জামায়াত নীতিগতভাবে জনগণকে সব ক্ষমতার উৎস বলে মনে করে না। সেই সঙ্গে আইন প্রণয়নে জনপ্রতিনিধিদের নিরঙ্কুশ ক্ষমতাকেও স্বীকার করে না। দ্বিতীয়ত, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুসারে কোনো সাম্প্রদায়িক দল নিবন্ধন পেতে পারে না। তৃতীয়ত, নিবন্ধন পাওয়া রাজনৈতিক দল ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গের কোনো বৈষম্য করতে পারবে না। কিন্তু জামায়াতের শীর্ষপদে কখনো কোনো নারী বা অমুসলিম যেতে পারবে না। চতুর্থত, কোনো দলের বিদেশে কোনো শাখা থাকতে পারবে না। অথচ জামায়াত বিদেশের একটি সংগঠনের শাখা। তারা স্বীকারই করে- তাদের জন্ম ভারতে, বিশ্বজুড়ে তাদের শাখা রয়েছে।
এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরবর্তীতে হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াতে ইসলামী। এছাড়াও তৎকালীন শাসনামলে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় দাঁড়িপাল্লা বিচার বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতীক উল্লেখ করে এটি কোনো নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না বলে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী প্রতীক ছিল দাঁড়িপাল্লা। দলটির এ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিভিন্ন সংসদ নির্বাচন ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে দলীয় প্রার্থীগণ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে পার্লামেন্টে ভূমিকা রাখেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন যখন তুঙ্গে, পতনের দ্বারপ্রান্তে যখন শেখ হাসিনার সরকার; ঠিক সে সময় ১ আগস্ট জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে আওয়ামী লীগ সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ (১) ধারার ক্ষমতা বলে জামায়াত, শিবির ও এর সব অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নিষিদ্ধ দল ও সংগঠন হিসেবে আইনের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনে পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল তা প্রত্যাহার করেছে সরকার। এখন নিবন্ধন ফিরে পেতে আইনি লড়াই শুরু করছে দলটি।
এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে নতুন পরিস্থিতিতে বিএনপি-জামায়াতের সম্পর্কের দূরত্ব ক্রমেই বাড়ছে। দুই দল থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয় তারা এখন আর একই জোটে নেই। কারণ, হাসিনা সরকারের পতনের কারণে এখন আওয়ামী লীগ মাঠে নেই। নেতা-কর্মীরা হয় পালিয়েছেন, নয় আত্মগোপনে আছেন। আবার কেউ কেউ আটক হয়েছেন। তাই রাজনীতির মাঠে একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে। সেটাকে মাথায় রেখে একটি বড় শক্তি হিসেবে সামনে আসতে চাইছে জামায়াত।
বিএনপি দ্রুত নির্বাচন চাইলেও জামায়াতের অবস্থান ভিন্ন। জামায়াত দ্রুত নির্বাচনের জন্য তাড়াহুড়ো না করে সংস্কারের জন্য অন্তর্র্বর্তী সরকারকে পর্যাপ্ত সময় দিতে চায়। জামায়াত আগামী নির্বাচনে বিএনপির বিপরীতে ইসলামী দলগুলোকে এক ছাতার নিচে এনে শক্তি দেখাতে চায়। আর জামায়াতের এই অবস্থানের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যদি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে, তাহলে আরো চাপের মুখে পড়বে বিএনপি। নির্বাচন যত দেরিতে হবে বিএনপি তত চাপে পড়বে। আর জামায়াত তত সুবিধাজনক অবস্থানে যাবে। আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজনৈতিক দল সংগঠিত হবে।
এসব বিষয়ে শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেলারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর বাস্তবে কোনো দলীয় জোট নেই। গত আন্দোলনে বিএনপি থেকে জোট না থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তাদের দলীয় নেতারা। তাই তাদের সঙ্গে এখন আমাদের কোনো দলীয় জোট নেই। তবে পারস্পরিক সম্পর্ক ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় আছে, থাকবে এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে, এটা দল রক্ষা করে চলব। তাদের সঙ্গে মাঝে মাঝে বসা হয় এবং দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত আছে।
জামায়াতের প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, মাঠে অনেক রাজনৈতিক কথা হয় তাতে বিএনপির সঙ্গে আমাদের কোনো দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে মনে করি না। আমাদের পারস্পরিক সব দলই সংস্কার চায়। আর আমরা সংস্কারের জন্য কোনো সময় বেঁধে দিতে চাই না। আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কে কোনো ঘাটতি হয়েছে বলে মনে করি না। তবে এখন আমরা আর বিএনপির সঙ্গে জোটভুক্ত নেই।
তিনি বলেন, আমরা ইসলামী দল ও সংগঠনের সঙ্গে এখন আলাপ-আলোচনা করছি সবাই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য। নির্বাচন নিয়ে কোনো জোট করার জন্য এটা আমরা করছি না। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর আমরা ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে কোনো জোট করব কি-না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। আর বিএনপির ব্যাপারেও আমাদের একই অবস্থান। এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। দেশে নতুন কোনো রাজনৈতিক দল হলে আমরা স্বাগত জানাই। কারণ গণতন্ত্রে রাজনীতি করার অধিকার সবার আছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ মনে করেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকায় জামায়াত সেই ফাঁকা জায়গায় একটি শক্তি হিসাবে নিজেদের প্রকাশ করতে চাইছে। এই কারণেই তারা এখন বিএনপির বাইরে গিয়ে অবস্থান নিয়েছে। নির্বাচন দেরিতে হলে তাদের শক্তি আরো সংহত হতে পারে। যদিও এতে ভোটের রাজনীতিতে বড় কোনো প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করি না। কারণ তাদের যে ভোট ব্যাংক তা খুব বেশি বাড়বে না। কারণ বাংলাদেশের ভোট মূলত বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দুই ভাগে বিভক্ত। নির্বাচন দেরিতে হলেও আওয়ামী লীগ অল্প কিছু আসন পেতে পারে। কিন্তু তারা অনেক ভোট পাবে বলে আমি মনে করি। আর জামায়াত যদি ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে জোট বেঁধে নির্বাচন করে তাহলে তাদের আসন কিছু বাড়বে।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নতুন দল গঠন করলে তার প্রভাব ভোটের রাজনীতিতে পড়বে না। কারণ বাংলাদেশে ভোটের রাজনীতি আলাদা। তবে তাদের মানুষ স্বাগত জানাবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দল। তবে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষা এবং সুশাসন ও ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সবাইকে আরো বড় ধরনের ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। যারা মাইনরিটি মাইনরিটি বলে মানুষের ঘাড়ে চেপে মুসলমানদের বেইজ্জত করতে চায়, তারা কিন্তু বসে নেই। এদের ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। এ দুষ্কৃতকারীরা যেন ফাঁকতালে কোনো অঘটন ঘটাতে না পারে, শৃঙ্খলা নষ্ট করতে না পারে, সে জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব অনেক। তারা আওয়ামী-স্বৈরাচারীদের হাত থেকে একটি বিধ্বস্ত দেশ পেয়েছেন। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য নতুন সরকারকে সময় দিতে হবে। দেশে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও সংশোধনে সরকারকে যৌক্তিক সময় দেবে জামায়াত। সাড়ে ১৫ বছর যেহেতু ধৈর্য ধরেছি, আরও কিছুটা সময় ধৈর্য ধারণ করা সবার জন্যই ভালো। আমরা মনে করি, তারা (অন্তর্র্বর্তী সরকার) এখনো রাইট ডিরেকশনে আছে। তারা সেভাবে এগিয়ে গেলে আল্লাহও সাহায্য করবেন, দেশের জনগণও সাহায্য করবেন।