গ্যাসের দাম ২১১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব তিতাসের

সংগৃহীত ছবি

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

গ্যাসের দাম ২১১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব তিতাসের

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১২ মার্চ, ২০১৯

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত চুলার জন্য গ্যাসের দাম ৮০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। সেই সাথে বিদ্যুৎ, শিল্প ও মোটরযানসহ অন্যান্য গ্রাহক পর্যায়ে ২১১ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

প্রস্তাবটি অনুমোদন পেলে এক চুলা ব্যবহারকারীদের প্রতি মাসে ৭৫০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৩৫০ টাকা এবং দুই চুলার জন্য মাস প্রতি ৮০০ টাকার জায়গায় ১ হাজার ৪৪০ টাকা দিতে হবে। অন্যদিকে মিটার থাকা গ্রাহকদের প্রতি ঘনফুট (প্রতি ইউনিট) গ্যাসের মূল্য হিসেবে ৯.১০ টাকার বদলে ১৬.৪১ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে রাজধানীর টিসিবি মিলনায়তনে চলমান গণশুনানিতে মঙ্গলবার তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল বলেন, আদমানিকৃত ব্যয়বহুল তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) গ্রাহকদের সরবরাহের ফলে কোম্পানির যে ক্ষতি হবে তাতে ভারসাম্য আনতে তারা এ প্রস্তাব দিয়েছেন।

দেশে গ্যাসের চাহিদা পূরণে সরকারের এলএনজি আমদানির ফলে ব্যয় কাটিয়ে উঠতে বিভিন্ন বিতরণকারী কোম্পানি গ্যাসের দাম বাড়ানোর যেসব প্রস্তাব দিয়েছে তা নিয়ে সোমবার থেকে চার দিনব্যাপী গণশুনানি করছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

বর্তমানে সরকার ৫০০ এমএমসিএফডি (মিলিয়ন কিউবিক ফিট পার ডে) এলএনজি আমদানি করছে। আগামী এপ্রিল থেকে তা ১ হাজার এমএমসিএফডিতে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বিইআরসি চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলামের সভাপতিত্বে গণশুনানিতে সংস্থার অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। শুনানি শেষে প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে ৯০ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিইআরসি।

তিতাসের প্রস্তাব অনুযায়ী, বিদ্যুৎকেন্দ্রকে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৩.১৬ টাকার পরিবর্তে ৯.৭৪ টাকা দিতে হবে। দাম বাড়বে ২০৮ শতাংশ। অন্যদিকে সার কারখানাকে প্রতি ইউনিটে ২.৭১ টাকার বদলে ৮.৪৪ টাকা দিতে হবে। এখানে দাম বাড়বে ২১১ শতাংশ।

এছাড়া, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৯.৬২ টাকার জায়গায় ১৮.৮৮ টাকা, শিল্প কারখানায় ৭.৭৬ টাকার বদলে ১৮.০৪ টাকা, সিএনজিতে ৩২ টাকার পরিবর্তে ৪৮ টাকা ও বাণিজ্যিক ব্যবহারে ১৭.০৪ টাকার জায়গায় ২৪.০৫ টাকা প্রতি ইউনিটে ব্যয় করতে হবে।

মঙ্গলবারের শুনানির দ্বিতীয় অধিবেশনে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডও একই ধরনের প্রস্তাব উত্থাপন করে।

বুধবার বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানি ও জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানির প্রস্তাবের ওপর শুনানি হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads