গুরুদাসপুরে নন্দকুজা নদীতে অবাধে ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা

নাটোরের গুরুদাসপুরে নন্দকুজা নদীতে দখলের পাশাপাশি ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে নদী সংকুচিত হয়ে পড়েছে।

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

জীব ও পরিবেশ

গুরুদাসপুরে নন্দকুজা নদীতে অবাধে ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা

  • গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১০ অক্টোবর, ২০১৯

নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসভার বুকচিরে প্রবাহিত নন্দকুজা নদীতে ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। চাঁচকৈড় গরুহাট, কাঠহাট ও রসুনহাটসহ বিভিন্ন পয়েন্টে হোটেল রেষ্টুরেন্ট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লা আবর্জনা অবাধে ফেলা হচ্ছে ওই নদীতে। এমনিতেই পদ্মার উৎসমুখ চারঘাটে স্লুইচগেটের কারণে নদীটি মরতে বসেছে। তারওপর দখল দূষণে নন্দকুজা নদী অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। ফলে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি নদীটির জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজিমনে গেলে দেখা যায়, বিভিন্ন হোটেল রেষ্টুরেন্ট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিদিনের পচা পরিত্যক্ত খাবার, দইয়ের খালিবাটি, ডিমের খোসা, পলিথিন, মুরগীর নাড়িভুঁড়ি, প্লাস্টিকের বোতলসহ নানা ধরণের দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা আবর্জনা নন্দকুজা নদীতে ফেলা হচ্ছে। এছাড়া গরু, ছাগল মারা গেলেও নদীতে ফেলে দেয়া হয়। নদীটি ময়লা আবর্জনা ফেলার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে নদীকে বাঁচাতে উপজেলা প্রশাসনের কঠোর প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলে স্থানীয়রা মনে করেন।

উপজেলা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আত্হার হোসেন বলেন, নদী না বাঁচলে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। ময়লা আবর্জনা নদীর পানিতে মিশে নানা রোগ জীবানুও ছড়াচ্ছে। নন্দকুজাকে বাঁচাতে এখনই দখল দূষণ রোধ করতে হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন বলেন, নদী খেকোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ২শ অবৈধ দখলদারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। দূষণ রোধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads