নাটোরের গুরুদাসপুরে গুমানী নদীর মধ্যে একটি নৌকা থেকে আনন্দ কুমার (২০) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ।
আজ রোববার (২৩ জুন) গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের শাহপুর কালিনগর গ্রামের গুমানী নদী থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করে। আনন্দ কুমার ওই গ্রামের শ্রী খগেন হালদারের ছেলে।
আনন্দ কুমারের ভগ্নিপতি শ্রী বকুল জানান, আনন্দ কুমার চাঁচকৈড় বাজারের বাঁশহাটা আম্বিয়া কম্পিউটারস নামের একটি দোকানে কর্মরত ছিলো। গত শনিবার দুপুরে বাড়ি থেকে দোকানের উদ্দ্যেশে বের হয়। তারপর থেকে আর বাসায় ফেরেনি আনন্দ কুমার। সকালে বাড়ি থেকে একটু দুরেই গুমানী নদীর মধ্যে থাকা একটি মালবাহী খালি নৌকার মধ্যে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
তিনি আরো জানান, আমার শালা আনন্দ কুমার দোকান মালিক হিটুশাহকে বলেছিলো আমি আর দোকানে থাকবো না। আমার পাওনা টাকা আমাকে দিয়ে দিন। দোকানে থাকতে না চাওয়ায় হিটু শাহ আমার শালাকে হুমকি দিতো।
দোকান মালিক হিটু শাহ জানান, আনন্দ কুমার আমার দোকানে ৬ মাস যাবৎ কাজ করে আসছে। তার সাথে আমার ভাল সম্পর্ক। আমার কাছে তার কোন টাকা পাওনা ছিল না বরং চলতি মাসের বেতনের অগ্রিম টাকা আনন্দ আমার কাছ থেকে নিয়েছিলো। আনন্দ কখন কোন মাসে কত টাকা নেয় তার সব হিসাব তার হাতেই লেখা থাকে আমার দোকানের হিসাব খাতায়। আমার জানামতে আনন্দ কুমার অনেক ভাল ছেলে। আনন্দ কুমারের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে শুনে আমি তখনি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় তার শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সুরতহাল রিপোর্ট হাতে পেলে সঠিক ঘটনা জানাযাবে।