ভারতের সীমানাঘেঁষা শেরপুরের গারো পাহাড়। এ জেলার পাঁচটি উপজেলার মধ্যে পাহাড়বেষ্টিত উপজেলাগুলো হচ্ছে শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী। এসব এলাকায় সরকারি ও বেসরকারি কয়েক হাজার একর জমি পতিত রয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে ওইসব জমিতে রয়েছে বিপুল পরিমাণ ঘাসের সমারোহ। এগুলো গোখাদ্যের চাহিদা মেটায়। এ ছাড়া রয়েছে নির্মল প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বিশাল বিচরণ ভূমি। এ জন্য গারো পাহাড়জুড়ে গড়ে উঠতে পারে দুগ্ধ খামার। স্থানীয়রা গাভি পালন করে সংসারে এনেছেন সচ্ছলতা।
স্থানীয়রা বলছেন, অর্থের অভাবে উন্নত জাতের গাভি দিয়ে দুগ্ধ খামার গড়ে তোলা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে প্রয়োজন সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগ। তাদের মতে, এখানে উন্নত জাতের গাভি পালন করে দুগ্ধ খামার ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব। সেই সঙ্গে সৃষ্টি হতে পারে ব্যাপক কর্মসংস্থান।
জেলা পশুসম্পদ অধিদফতর সূত্র জানায়, গারো পাহাড়ে কমপক্ষে সাড়ে ৭ লাখ গরু রয়েছে। এ ছাড়া ছাগলের সংখ্যা হবে কমপক্ষে তিন লাখ ও ভেড়া অর্ধ লক্ষাধিক।
এ সম্পর্কে পশুসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা ডা. আবদুর রউফ বলেন, একটি গাভির মাথাপিছু গড়ে ২ কেজি বিচালি ও কাঁচা ঘাসসহ আধা কেজি করে খৈল, খেসারির ডাল, ধান, গমের কুঁড়া ও চিটাগুড় প্রয়োজন। পাহাড়ে আধুনিক পদ্ধতিতে গোচারণ ভূমি গড়ে তুলে দুধ আহরণ ও প্রক্রিয়াজাত করা জরুরি। এ দিয়ে দেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।





