বিশ্ব সংগীতের বরপুত্র মার্কিন গায়ক ও নোবেলজয়ী গীতিকবি বব ডিলান তার ক্যারিয়ারের প্রায় ৬০০ গানের স্বত্ব বিক্রি করেছেন। ডিলানের এসব গানের নতুন স্বত্বাধিকারী হচ্ছে ইউনিভার্সেল মিউজিক গ্রুপ। এর মধ্যে ‘দ্য টাইমস দে আর অ্যা-চেঞ্জিং’ ও ‘লাইক অ্যা রোলিং স্টোন’-এর মতো জনপ্রিয় গানও রয়েছে।
ইউনিভার্সেলের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় অধিগ্রহণগুলোর অন্যতম। এর ফলে ভবিষ্যতে এই গানগুলোর সব উপার্জন জমা হবে কোম্পানিটির অ্যাকাউন্টে। যদিও এই চুক্তি সম্পর্কে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, চুক্তিটি কয়েক কোটি ডলারের কমে হয়নি।
বব ডিলানের উত্থান মূলত আশির দশকে। সে সময় থেকেই তিনি নিয়মিত গান নিয়ে বিশ্বভ্রমণে বের হতেন। যদিও তার ক্যারিয়ারে গায়ক হিসেবেই তিনি বেশি পরিচিত এবং সফল হয়েছেন, তবে গীতিকার হিসেবেই তার অবদানকে বেশি মূল্য দেওয়া হয়।
এদিকে গানে অনবদ্য সৃষ্টি ও নতুন নতুন রেকর্ড গড়ার জন্য তিনি গ্রামি অ্যাডওয়ার্ড, গোল্ডেন গ্লোব এবং অ্যাকাডেমি পুরস্কার জিতেছেন এবং রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেম, ন্যাশভিল সংরাইটার্স হল অব ফেম ও সংরাইটার্স হল অব ফেমে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তাছাড়া টাইম ম্যাগাজিনের প্রকাশিত বিংশ শতকের শ্রেষ্ঠ ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় তার নাম রয়েছে।
ববের ছয় বছর বয়সে পোলিও আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ববের বাবা। বাধ্য হয়ে মা চলে এলেন বাপের বাড়ি হিবিংয়ে। সেখানেই রবার্ট মানে ববের বেড়ে ওঠা। বব যেন সেখানে হয়ে উঠলেন প্রকৃতির সন্তান। সেই সঙ্গে সুযোগ পেলেই তিনি শুনতেন রেডিওর গান। হ্যাঁ, তখন তার প্রিয় ছিল ব্রঞ্জ আর কান্ট্রি সং। এগুলো শুনতে শুনতে, বুঝতে বুঝতেই রক-এন রোলের ভক্ত হয়ে উঠলেন বব। হিবিংয়ে স্কুলে থাকতেই বব গড়ে তুলেছিলেন একটা ব্যান্ড।
এরপর মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন ১৯৫৯ সালে। তখন কিন্তু রক গানের প্রতি ঝোঁকটা আর টিকল না।
]তিনি ঝুঁকলেন লোকসংগীতের দিকে। বিশ্ববিদ্যালয় ভালো লাগল না তার। চলে এলেন নিউইয়র্কে। মূলত তিনি ছিলেন কবি ডিলান টমাসের ভক্ত। তাই নিজের নাম দিলেন বব ডিলান। বব ডিলান হয়ে ওঠার রহস্য এটাই।