গাজীপুরের সাফারি পার্কে বিদ্যুৎ-পানি সংকট

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

গাজীপুরের সাফারি পার্কে বিদ্যুৎ-পানি সংকট

  • রেজাউল করিম সোহাগ, শ্রীপুর
  • প্রকাশিত ১ জুলাই, ২০১৯

গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে চলছে বিদ্যুতের আকাল। দিনে ১০ ঘন্টারও বেশি সময় বিদ্যুৎ ছাড়াই চলে সাফারি পার্কের নিত্যদিনের কর্মকাণ্ড। বিপাকে রয়েছে পার্কের ভিতরে  বসবাসকারি (আবাসিক) কর্মকর্তা কর্মচারিরা। বিদ্যুৎ ছাড়া এ গরমে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে শিশু নারীসহ পার্কে বসবাসকারীরা।  প্রাণীর পানি সরবরাহেও রয়েছে জটিলতা। এ নিয়ে অনেকবার বিদ্যুৎ বিভাগ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনো সুফল হয়নি বলে অভিযোগ পার্ক কর্তৃপক্ষের। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের নিকটও অভিযোগ করেছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।

কর্মকর্তারা ও কর্মচারিরা জানান, বছর ধরেই পার্কে বিদ্যুৎ ভোগান্তিতে রয়েছে পার্কের সবাই। দিনে অন্তত ১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছাড়াই চলতে হচ্ছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে দৈনন্দিন কার্যক্রম। পার্কে প্রাণীর পানি সরবরাহেও ভোগান্তি রয়েছে। এখন পার্কের বিভিন্ন সাইটেই পানি সরবরাহ করা প্রায় বন্ধের উপক্রম। বিভিন্ন প্রাণীর জন্য সময় মত পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এতে প্রাণীরা পানি অভাবে ভুগছে। তারা আরো জানান, পার্কে বসবাসকারীরা রয়েছে আরো জটিল কষ্টে। তীব্র গরমে শিশু বৃদ্ধ নারীসহ সবাই রয়েছে বেসামাল। পার্কের ডরমেটরিতে বসবাসকারিরা এখন দুর্বিসহ দিন পার করছে। বিদ্যুতের অভাবে পার্কের ইনকিউভেটরে রাখা ময়ূরের ডিম নষ্ট হচ্ছে নিয়মিত।

পার্কের ডমমেটরি-২ বসবাস করে ওয়াইল্ডলাইফ স্কাউট মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি স্ত্রী শিশু সন্তান নিয়ে এখানে বসবাস করেন। তিনি জানান, দিনে অন্তত ৭-৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকেনা। প্রচণ্ড গরমে শিশু নারীদের নিয়ে সবাই চরম কষ্টে দিনানিপাত করছে এ পার্কের আবাসিক জোনে। এ ভোগান্তি থেকে উত্তরণ চাই।

পার্কের ম্যাকাউ অ্যাভিয়ারিতে পাখিরদের দেখাশোনা করেন রোকন মিয়া। তিনি জানান, পার্কের বিদ্যুতের চরম ঘাটতি রয়েছে। অনেক সময় পাখিসহ বিভিন্ন প্রানীর পানি সরবরাহ করতে ব্যাঘাত ঘটে।

পার্কের ওয়াইল্ডলাইফ সুপার ভাইজার আনিসুর রহমান জানান, বিদ্যুতের অভাবে কোর সাফারিতে বাঘ, সিংহ বেষ্টনীর গেট অটোতে খোলা যাচ্ছে না। নিরুপায় হয়ে মেনুয়ালিই খোলতে হচ্ছে গেইট। এ ছাড়াই বিদ্যুতের অভাবে দৈনন্দিন সকল কার্যক্রমই ব্যাহত হচ্ছে। মাছের অ্যাকুরিয়ামসহ বিভিন্ন রাইডে বিদ্যুতের জন্য পানি সংকট দেখা দিয়েছে। 

পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসিএফ) তবিবুর রহমান জানান, বিদ্যুতের এ ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে অনেকবার বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। দিনে ৮-১০ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছাড়া চলতে হচ্ছে আমাদের। প্রতি মাসে দেড় লাখ টাকা বিদ্যুর বিল দেই। তবুও ভোগান্তি কমছেনা।  পরে এ সমস্যা লাগবে জেলা প্রশাসকের কাছেও অভিযোগ করা হয়েছে। পার্কের বিদ্যুরে সরবরাহ লাইনও লক্করঝক্কর। এ ভোগান্তি খেতে রেহাই পেতে চাই আমরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জিএম জিল্লুর রহমান জানান, এতো লম্বা সময় বিদ্যুতের ঘাটতির ঘটনা সত্য নয়। মাঝে মধ্যে লাইন মেরামতের প্রয়োজনে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে। কাজ শেষ হলেই আবার বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়ে যায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads