• শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ | ১৪ চৈত্র ১৪৩১ | ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

জীবনধারা

গাছের পরিচর্যায় কাজে লাগাতে পারেন এই উপকরণগুলো

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২২ অগাস্ট, ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

বাড়ির ছোট বারান্দাটিতেই সাধের বাগান করেছেন, নিয়মিত পানিও দিচ্ছেন। তবুও কী করলে আপনার পছন্দের গাছের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এই নিয়ে চিন্তা কিন্তু থেকেই যায়। আপনার হাতের কাছেই কিন্তু রয়েছে সহজ সমাধান। রান্নাঘরে প্রতিদিন সবজির খোসাগুলো ফেলে দেন, ভাবেন কোনও কাজে লাগবে না। কিন্তু জানেন কি আপনার গাছ ভালো রাখতে এই বাতিল হওয়া জিনিসগুলোই কাজে আসতে পারে। ভালো সার হিসেবে কাজ করতে পারে এই রকম কয়েকটা জিনিসের হদিস রইল এখানে।

ভালো সার হিসেবে কাজ করতে পারে এই রকম কয়েকটা জিনিসের নাম জেনে নিন:

সবজির খোসা: আলু, পটল, ঝিঙে, কুমড়া ছাড়াও যে সব সবজি ব্যবহার করেন, তার খোসা একটি পাত্রে জমা করে রাখুন। এই খোসা খুবই ভালো উৎকৃষ্ট সার হতে পারে গাছের জন্য। সবজি ছাড়াও কলা খাওয়ার পর খোসাগুলো একটি পাত্রে মজুত করুন। কলার খোসায় পটাশিয়াম, ফসফরাসের মতো উপাদান থাকে, যা গাছের জন্য বেশ উপকারী। কলার খোসা সব বাড়িতেই কমবেশি পাওয়া যায় এবং সার তৈরির খুব ভালো উপাদানও বটে।

পুরনো সবজি: ফ্রিজে অনেক দিন রেখে দেওয়ার পর কিছু নষ্ট হয়ে যায়। তখন সেই সবজি রান্নায় ব্যবহার করা যায় না। ফেলে না দিয়ে সার তৈরির পাত্রে রেখে দিন। কিছুদিন রাখার পর এটিও ভালো সার হবে।

কফির গুঁড়ো: কফির গুঁড়োতে নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, ফসফরাসের মতো উপাদান রয়েছে যা গাছের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সার হিসেবে সরাসরি মাটিতে দিতে পারেন। বাগান ভালবাসেন যারা, তারা রীতিমতো এই কফির গুঁড়ো সংগ্রহে রাখেন। বর্ষায় পোকামাকড়ের হাত থেকে গাছকে বাঁচাতেও কফি বেশ উপকারী।

ব্যবহৃত টি ব্যাগ ও চা পাতা: চায়ে ব্যবহৃত টি ব্যাগ গাছের সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। চা ছাঁকার পর যে অবশিষ্ট চা পাতা পরে থাকে, সেটাও সার হিসেবে খুব ভালো। তবে দুধ-চায়ের পাতা না লিকার চা কিংবা গ্রিন টি-র পাতা ব্যবহার করাই ভালো।

ডিমের খোসা: ডিমের খোসায় রয়েছে ক্যালশিয়াম। এটি গাছের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সার তৈরির জন্য এটি ভীষণ ভালো উপাদান। ভালো করে ডিমের খোসা ধুয়ে নিন, তারপর একটি ব্লেন্ডারে গুঁড়ো করে নিন। আপনার তৈরি করে রাখা সারের সঙ্গে মিশিয়ে দিন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads