গাইবান্ধায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আয়োজনে ‘মা-শিশু স্বাস্থ্য , কিশোর কিশোরীর প্রজনন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে অবহিতকরণ’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুপুরে আয়োজিত কর্মশালায় বক্তারা বলেন, গাইবান্ধার চরাঞ্চলসহ জেলায় বাল্য বিয়ের সংখ্যা দেশের মধ্যে সর্বাধিক যা পরিবার পরিকল্পনার কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে বাধা হিসাবে কাজ করছে। এই বাধা অতিক্রম করতে সাংবাদিকসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সহায়তা প্রয়োজন বলে বক্তারা মত প্রকাশ করেন।
গাইবান্ধা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, ঢাকা এর আই ইএম ইউনিট ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইসরাত জেবীন। এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন, সিভিল সার্জন ডা. আবু মো. হানিফ, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহকারি পরিচালক ডা. ফারুক আজম নুর, জেলা পরিবার পরিকল্পনা ফেসিলেটর মো. আসাদুজ্জামান, সাংবাদিক সরকার মো. শহিদুজ্জামান, এবিএম আব্দুস ছাত্তার, এস এম বিপ্লব প্রমুখ।
কর্মশালায় জানানো হয় মা ও শিশু মৃত্যু রোধে বাল্য বিবাহ একটি বড় সমস্যা। দেশে এখনও ৫৯ শতাংশ মেয়ের ১৮ বছরের কম বয়সে বিয়ে হচ্ছে। যার ৩১ শতাংশ ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সে গর্ভধারণ করে। ফলে অপরিণত শিশুর জন্ম হচ্ছে। দেশে প্রায় ৫০ ভাগ নবজাতকের মৃত্যু হচ্ছে জন্মের ২৪ ঘন্টার মধ্যে। বছরে প্রায় এক লক্ষ বিশ হাজার শিশু জন্মের ২৮ দিনের মাথায় মৃত্যুবরণ করছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে তাতে সবার অংশগ্রহণ জরুরি বলে সভায় মত প্রকাশ করা হয়।