কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গরু পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন ডা. বেলাল হোসেন। তিনি পৌর এলাকার নবগ্রাম কোণাপাড়ার আবদুল লতিফের ছেলে। নিজ বাড়িতেই ‘সাব্বির এগ্রো’ নামে তার মালিকানাধীন একটি গরুর খামার রয়েছে। খামারের গরু দেখভাল করার জন্য রয়েছে দুইজন শ্রমিক।
জানা গেছে, ডা. বেলাল হোসেন ২০০৭ সালে তিনটি গরু নিয়ে খামারের কার্যক্রম শুরু করেন। আস্তে আস্তে লাভবান হয়ে খামার বড় করতে থাকেন। বর্তমানে তার চব্বিশ শেডের খামারে এগারটি গরু রয়েছে। প্রতি সপ্তাহে একটি করে গরু কেনা অব্যাহত রেখেছেন। তিনি প্রতি বছর গরু বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।
ডা. বেলাল হোসেন জানান, চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি গরু পালন করে লাভবান হয়েছি। তবে সিন্ডিকেটের কারণে খাবারের মূল্য বেশি হওয়ায় অনেক পূঁজি দিতে হয়। সরকার কৃষিখাতের মতো এ খাতে কম সুদে ঋণ দিলে যুবকরা গরু পালনে আগ্রহী হতো। তিনি প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট গরু পালনে আগ্রহীদের কম সুদে ঋণ দেয়ার আহবান জানান।
এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাণি সম্পদক কর্মকর্তা আজহার-উল-আলম বলেন, গবাদি পশু পালন একটি সহজ কিন্তু পরিশ্রমের কাজ। তাছাড়া বাজারে দুধেরও চাহিদা রয়েছে। কিন্তু এই দুধ যদি ঢাকা ও চট্টগ্রামে অথবা মিল্কভিটা কর্তৃক কালেকশান করা হতো, তবে খামারীরা প্রকৃত পক্ষে অনেক লাভবান হতো। এই এলাকায় যদি আইসক্রিম বা চকলেট প্রতিষ্ঠান তৈরির জন্য কোন বড় উদ্যোক্তা থাকতো তবে খামারীরা আরও বেশি উপকৃত হতো। কাজেই আমি এই ব্যাপারে এ উপজেলার শিল্প উদ্যোক্তাদের এই রকম প্রতিষ্ঠান তৈরি ও বিনিয়োগ করার জন্য অনুরোধ করছি।