ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথের ধলা রেলওয়ে ষ্টেশনে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা মাছ পরিবহনে আলাদা বগি ও সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবীতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুর কমিউটার-১ ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে । এসময় গফরগাঁও রেলওয়ে ষ্টেশনসহ ৩টি স্টেশনে অপেক্ষমান যাত্রীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিট থেকে প্রায় পৌনে দুই ঘন্টা এ অবরোধ চলে। এ সময় গফরগাঁও, মশাখালী ও আউলিয়ানগর রেলওয়ে ষ্টেশনে আন্তনগর ব্রহ্মপুত্রসহ তিনটি ট্রেন আটকা পরে।
গফরগাঁও রেলওয়ে ষ্টেশন সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ট্রেনগুলোতে মাছসহ কাঁচামাল পরিবহনে নিষেধাজ্ঞ আরোপ করায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চলাচলকারী ট্রেনগুলোতে মাছসহ কাঁচামাল পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। এতে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ধলা-বালিপাড়া এলাকার মাছ ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েন। সড়ক পথ অনুপযোগী হওয়ায় এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা রেলপথের উপর নির্ভরশীল। রেলপথকে নির্ভর করে ধলা এলাকায় শতশত ফিসারী ও হ্যাচারীতে কোটি কোটি টাকার মাছের ব্যবসা গড়ে উঠেছে। কিন্তু রেলে মাছ পরিবহনের নিষেধাজ্ঞার কারনে উৎপাদিত মাছ ও মাছের পোনা বাজারজাত করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। তাই ক্ষতি কাটিয়ে উঠার জন্য ব্যবসায়ীরা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ট্রেনগুলোতে মাছ পরিবহনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে আসছিলেন।
এ অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৪০মিনিট থেকে প্রায় পৌনে দুই ঘন্টা ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুর কমিউটার-১ ট্রেনটি ধলা ষ্টেশনে অবরোধ করে রাখেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এ সময় মশাখালী রেলওয়ে ষ্টেশনে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর তিস্তা এক্সপ্রেস, গফরগাঁও ষ্টেশনে জামালপুর কমিউটার-২ ও আউলিয়া নগর ষ্টেশনে ঢাকাগামী আন্তনগর ব্রহ্মপুত্র একপ্রেস ট্রেন আটকা পড়ে। এতে গফরগাঁও রেলওয়ে ষ্টেশনে ঢাকাগামী আন্তনগর ব্রহ্মপুত্র ট্রেনের যাত্রীসহ বিভিন্ন ট্রেনের শত শত যাত্রী চরম দুর্ভোগে পরেন। ঢাকাগামী আন্তনগর ব্রহ্মপুত্র ট্রেনের যাত্রী কণ্ঠ শিল্পী মানিক মোহাম্মদ বলেন, দীর্ঘ সময় পর ট্রেনটি গফরগাঁও ষ্টেশনে এসেছে। এতে অপেক্ষমান যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
ধলা ষ্টেশনের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত গফরগাঁও রেলওয়ে ষ্টেশনের ষ্টেশন মাস্টার আশরাফ চৌধুরী বলেন, অবরোধের কারনে গফরগাঁও, মশাখালী, ধলা ও আউলিয়া নগর ষ্টেশনে আটকে পড়া ট্রেনের যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এতে আটকে পড়া ট্রেনগুলোর সময়সূচিও এলোমেলো হয়ে যায়।