সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিকভাবে বেশ কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। সৌদিরই কেউ কেউ ও তাদের পশ্চিমা সমর্থক যুবরাজকে ক্ষমতা থেকে সরাতে বিশেষ আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের সাবেক এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল রোববার রুশ গণমাধ্যম আরটি নেটওয়ার্ক এ কথা জানায়। খবর বিবিসি ও আলজাজিরা।
পেন্টাগনের সাবেক কর্মকর্তা মাইকেল মালুফ বলেন, খাশোগিকে হত্যায় আন্তর্জাতিক সমালোচনার বেশিরভাগই গিয়ে পড়েছে যুবরাজের ওপর। সৌদি রাজপরিবারের সদস্যদের মধ্যে বন্ধুদের চেয়ে শত্রুই বেশি তৈরি করেছেন এবং নেতৃস্থানীয়দের বেজায় বিপর্যস্ত করে তুলেছেন তিনি। এ কারণে ‘হাউজ অব সৌদ’ বা রাজপরিবারে বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বেড়ে চলেছে।
এক্ষেত্রে প্রাসাদে বিদ্রোহীদের অভ্যুত্থানের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যুবরাজ এত শত্রু তৈরি করেছেন যে, অভ্যুত্থানকে কেবল সময়ের ব্যাপার হিসেবে ভাবতে হচ্ছে। বিদ্রোহীরা আশা করছেন, অভ্যুত্থান ঘটানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো হয়তো সহায়তা করবে। তবে, এটা ঘটবেই তা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনো আসেনি।
সৌদি বাদশা সালমানের এক ছোট ভাই তালাল বিন আবদুল আজিজ সম্প্রতি নির্বাসন থেকে দেশে ফিরে গেছেন। তার এই ফিরে আসাটাকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। নিশ্চিত কোনো আশ্বাস ছাড়া তিনি ফিরে আসতেন না। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে যুবরাজ মোহাম্মদ হয়তো ক্ষমতা হারাচ্ছেন। এ কারণে তিনি ফিরে এসেছেন। সৌদি যুবরাজকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রস্তাব করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাধর ব্যক্তিরাও। এদের মধ্যে কংগ্রেসে সৌদির অন্যতম সরব সমর্থক সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহামও রয়েছেন।