খালেদা-তারেকের সম্মান রক্ষায় ভোট চাইলেন ফখরুল

বিএনপির ইশতেহার ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল

ছবি : সংগৃহীত

রাজনীতি

খালেদা-তারেকের সম্মান রক্ষায় ভোট চাইলেন ফখরুল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘সম্মান’ ও ‘মর্যাদা’ প্রতিষ্ঠা এবং বিএনপির ঘরছাড়া নেতাকর্মীদের ঘরে ফেরার সুযোগ দিতে ভোট চাইলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আপনাদের একটি ভোট আমাদের নেত্রীর জীবনকে পুনরায় আলোয় উদ্ভাসিত করবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ইশতেহার প্রকাশকালে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি কী কী করবে, তা তুলে ধরেন তিনি। ইশতেহারের বেশিরভাগই ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারের সঙ্গে মিল রয়েছে। বিএনপি মহাসচিব দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড নিয়ে বলেন, আজকের এ মুহূর্তে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আমাদের সঙ্গে নেই। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে একটি পরিত্যক্ত ভবনে নির্জন কারাবাস করছেন। আর তারেক রহমান সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই দেশে ফিরতে পারছেন না। তিনি তাদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় জনগণের কাছে বিএনপির পক্ষে ভোট চান।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররা একটি জনপ্রতিনিধিত্বহীন সরকার গঠন করে। গত ১০ বছরে দেশে কোনো রকম সুশাসন ও আইনের শাসন ছিল না। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। মামলা-হামলা, গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সৃষ্টি করা হয়েছে এক ভীতি ও ত্রাসের রাজত্ব। জনগণের বাক‌স্বাধীনতা ও সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশে আঞ্চলিক ও শ্রেণিবৈষম্য ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। দারিদ্র্য হ্রাসের হার কমে গেছে। দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে, ব্যাংকগুলো লুট হয়ে যাচ্ছে। দেশে সৃষ্টি হয়েছে দুর্বৃত্তায়ন ও লুণ্ঠনের অর্থনীতি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ রকম একটি নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতিতে ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ লড়াই শুধু নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের লড়াই নয়, এ লড়াই অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। এ লড়াই ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে মুক্ত জীবনে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই। বিএনপি একটি উন্নত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়। দেশের উন্নয়নের জন্য বিএনপির কর্মসূচিগুলো বহুমুখী ও উন্নততর। বিএনপি জনগণের কাছে স্পষ্টভাবে অঙ্গীকার করতে চায়, ক্ষমতায় গেলে কারো ওপরই কোনো প্রতিশোধ নেওয়া হবে না। একটি প্রতিহিংসামুক্ত ও সহমর্মী বাংলাদেশ গড়ে তোলাই বিএনপির লক্ষ্য।

ভোটারদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ মুহূর্তে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা নিজ ঘরে থাকতে পারছেন না। তারা নিজ ঘরে ফিরতে চান। পেতে চান পরিবারের সান্নিধ্য, একটি স্বস্তিময় রাত। আপনাদের সমর্থন ঘরছাড়া এই মানুষগুলোকে ঘরে ফেরার সুযোগ করে দেবে। অবসান ঘটাবে জুলুম ও নির্যাতনের বিভীষিকাময় পরিস্থিতির। নির্বাচনে জয়লাভ করে ঐক্যের সরকার গঠন করলে ঐকমত্য, সবার অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিহিংসাহীনতা- এই মূলনীতির ভিত্তিতে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনা করবে বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads