জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) জন্য কেনা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারে অনিয়ম তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এই অনিয়ম তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আইসিইউ’র যন্ত্রপাতি ব্যবহারের অনিয়মের কারণে হাসপাতালটির সদ্য অবসরে যাওয়া পরিচালক ড. মোয়াররফ হোসেনের অবসরকালীন পেনশন সুবিধা স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
‘অবহেলায় পড়ে আছে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটের অত্যাধুনিক আর্টিফিশিয়াল রেসপিরেটরি ভেন্টিলেটরি’ শিরোনামে একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) জন্য কেনা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও সদ্য অবসরে যাওয়া পরিচালককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক ও এম এমদাদুল হক। প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে হাইকোর্ট ওই রুল ও আদেশ জারি করেন বলে জানান ওই দুই আইনজীবী।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ১২ বছর আগে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) জন্য আটটি অত্যাধুনিক আর্টিফিশিয়াল রেসপিরেটরি ভেন্টিলেটর (এআরভি) মেশিন কেনা হয়েছিল। আইসিইউর জন্য অতি প্রয়োজনীয় এই যন্ত্রগুলোর প্রত্যেকটি ৭০ লাখ টাকায় কেনা হলেও আশ্চর্যজনকভাবে একবারের জন্যও সেগুলো ব্যবহার করা হয়নি। আইসিইউর ভেতরে এক কোণায় অযত্নে ফেলে রাখা হয়েছে যন্ত্রগুলো। এখন হাসপাতালটির আইসিইউতে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা নেই। অক্সিজেন সরবরাহের জন্য হাসপাতালটিতে একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা তিন বছর আগে চালু হলেও ভেন্টিলেটরগুলো এখনো বসানো হয়নি। আরো খারাপ খবর হলো, এরই মধ্যেই ভেন্টিলেটরগুলোর মাদারবোর্ড চুরি হয়ে গেছে। ফলে এ যন্ত্রগুলো এখন পুরোপুরি অকেজো।