কোটা সংস্কারের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি। চেম্বার জজ আদালত আগে এ দিন নির্ধারণ করলেও আপিলকারী পক্ষ শুনানি এগিয়ে আনার আবেদন করে। কিন্তু সে আবেদন গতকাল বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চ নাকচ করে দেন।
আপিলের আইনজীবী মো. এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, আপিলের শুনানি এগিয়ে আনতে আমরা আবেদন (মেনশন স্লিপ) দিয়েছিলাম। কিন্তু সেটি আপিল বিভাগ গ্রহণ করেননি। ফলে আগামী ১৭ জানুয়ারিই আপিলের শুনানি হবে।
গত ৫ মার্চ কোটা সংস্কার চেয়ে করা রিট আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ। রিট আবেদনকারীরা সংক্ষুব্ধ বা ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়ায় তাদের রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেন। শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছিলেন, কোটা সংস্কার হবে কি না এটা নির্বাহী বিভাগের পলিসির বিষয়। এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন রিট আবেদনকারীরা। পরে চেম্বার জজ আদালত ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি এ আপিলের শুনানির দিন নির্ধারণ করেন।
রিট আবেদনে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনি, প্রতিবন্ধী, নারী, জেলা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সব ধরনের কোটা পদ্ধতি বাতিল চাওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে কোটা পদ্ধতি প্রবর্তন করে ১৯৭২ সালের ৫ নভেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপন পুনর্মূল্যায়ন চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আবেদনে ভুল আছে বলে তা বাতিল করে দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র আনিসুর রহমান মীর, ঢাকাস্থ কুমিল্লা সাংবাদিক সমিতির সদস্য সচিব ও বাসসের প্রতিবেদক দিদারুল আলম এবং দৈনিক আমাদের অর্থনীতি পত্রিকার সহসম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ গত ৩১ জানুয়ারি রিট আবেদনটি করেছিলেন।