ঢাকার কেরানীগঞ্জে হযরতপুর থেকে রাব্বি (২১) নামের এক যুবকের হাত-পা বাধা বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। আজ রোববার দুপুরে কেরানীগঞ্জ উপজেলার হযরতপুর ইউনিয়নের আলগীরচর কোল এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত যুবক সাভার থানার হেমায়েতপুরের জয়নাবাড়ী এলাকায় হোসেন হাজীর বাড়ীতে দীর্ঘ দিন যাবত পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতো। তার পিতার নাম নুর হোসেন। তাদের গ্রামের বাড়ী ভোলার লালমোহন থানার গনেশপুর গ্রামে।
নিহতের পিতা নূর হোসেন জানান, গত ২৬ নভেম্বর বেলা ৩টায় একই এলাকার ভাড়াটিয়া রাব্বির পূর্ব পরিচিত রাসেল (৩০) তাকে বাসা থেকে ডেকে তার ছোট বউয়ের বাসায় নিয়ে যায়। সে রাতে বাসায় না ফিরলে পর দিন আমরা রাসেলে বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। এর তিনদিন পর পুলিশ এ বিষয়ে সাভার মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা করে। মামলার কোন কূলকিনারা না পেয়ে মামলাটি ডিবির নিকট হস্তান্তর করে পুলিশ।
নিখোঁজের ১৮ দিন পর মামলার প্রধান আসামি রাসেলকে গত ১২ ডিসেম্বর রাতে তার এক আত্মীয়ের বাড়ী থেকে তাকে আটক করতে সক্ষম হয় ডিবি। পরে আসামির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ রোববার দুপুরে কেরানীগঞ্জ উপজেলার হযরতপুর ইউনিয়নের আলগীরচর কোল থেকে তার হাতপা বাধা বস্তা বন্দী লাশ উদ্ধার করে। মামলার অপর আসামিরা হলো রাসেলের পিতা আটক শাহজাহান(৬০) এবং মামুন (২৫) পলাতক রয়েছ।
এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা গোয়েন্দা উত্তর বিভাগ, অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হাসান জানান, নিহত রাব্বির পিতা বিকাশ ব্যবসায়ী হওয়ার তার পাশের দোকানদার রাসেল পরিকল্পিতভাবে তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে তার চতুর্থ স্ত্রীর ভাড়াটিয়া বাসায় প্রথমে তকে ঘুমের ঔষধ খায়িয়ে অচেতন করে, পরে সে জেগে উঠলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মুলত বিকাশ ব্যবসায়ী পিতার টাকা হাতিয়ে নিতেই এই পরিকল্পিত হত্যা। মামলার পালাতাম আসামি মামুনকে আটকের চেষ্টা চলছে।
