জাতীয়

কেরানীগঞ্জে একদিনে ৩ লাশ উদ্ধার

  • এরশাদ হোসেন, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা)
  • প্রকাশিত ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

ঢাকার কেরানীগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে দুই ভাই মিলে বড় ভাইকে হত্যা ছাড়াও একই দিনে নৌকার মাঝি ও অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশ সহ মোট তিন জনের লাশ উদ্ধার করেছে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।

পারিবারিক কলহের জেরে আপন ছোট দুই ভাই মিলে বড় ভাইকে হত্যা করা নিহতের নাম আব্দুল জলিল (৪৫), সে বাস্তা ইউনিয়ন এর রাজাবাড়ী নামারহাটি এলাকার মৃত হাজী কানু মিয়ার ছেলে।

আজ শুক্রবার ভোর রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আব্দুল জলিলকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আব্দুল জলিল (৪৫)আলমগীর হোসেন (৪০) ও জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৭) আপন তিন ভাই। তারা রাজাবাড়ি নামারহাটি পৈত্রিক বাড়িতে একই সাথে বসবাস করত। বৃহস্পতিবার রাতে পারিবারিক কলহে ঝগড়া বিবাদ শুরু হলে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। হাতাহাতির এক পর্যায়ে মেজো ভাই আলমগীর হোসেন ও ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন মিলে বড় ভাই আব্দুল জলিল এর বুকে ও পেটে কিল ঘুষি মারলে হঠাৎ করে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়াও মণীন্দ্রচন্দ্র(৬৫) নামের পেশায় এক নৌকা মাঝিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন চুনকুটিয়া চৌধুরী পাড়া এলাকায় ভোর রাতে কে বা কারা ছুরিকাঘাত করে রাস্তায় ফেলে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে মিঠুনের সতেলা নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মণীন্দ্র চন্দ্র(৬৫) শুভাঢ্যা ইউনিয়নের বাঘৈর ঋষিপাড়া এলাকায় মরণ চন্দ্রের ছেলে। সে দীর্ঘদিন যাবৎ বুড়িগঙ্গায় তেলঘাট এলাকায় নৌকার মাঝি হিসাবে কাজ করতো।

এদিকে শুক্রবার সকাল ১১ টায় পোস্তগোলা হাসনাবাদ কবরস্থানের পার্শ্ববর্তী বড় মসজিদ ঘাট এলাকায় অজ্ঞাত (৬০) এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে হাসনাবাদ নৌ পুলিশ ফাঁড়ি। হাসনাবাদ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোশাররফ হোসেন জানান, ট্রিপল নাইন এর মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এসময় নিহতের গায়ে আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) খালেদুর রহমান জানান, নৌকার মাঝি মনীন্দ্র চন্দ্র হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে আমরা কিছু ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার করেছি, তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে জানতে পেরেছি তার শরীরে ৬টি ছুরির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। নিছক ছিনতাইয়ের ঘটনা হলে এতগুলো ছুরির আঘাত করা হতো না বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তাই বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। এছাড়াও রাজাবাড়ী এলাকায় পারিবারিক কলহে ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দে একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত দুই ভাই পলাতক থাকায় তাদেরকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে এবং দুটি ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads